আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি বাজারের পূর্ব পাশে ছালিয়াকান্দি সরকারি খালটি দখল করে রিপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ করেছে এক বিশাল প্রসাদ। অথচ নির্মানের শুরুতেই উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার পক্ষ থেকে বাধা দিলেও কোন প্রকার পরিমাপ ছাড়াই গড়ে তুলা হয়েছে ওই প্রসাধ। ফলে স্থানীয়দের আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দু এখন নিরব ভূমিকায় থাকা প্রশাসন।
এ ছাড়াও উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার-সদরের মাষ্টার পাড়া-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে সদরের উত্তর পাড়ার সরকারি খাল দখল করে কাঁচা ও পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। খাল দখলে অবলম্বন করা হয় বিভিন্ন কৌশল। প্রথমে খালের ওপর ছাপরা ও মাচা করে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ এবং পর্যায়ক্রমে খাল ভরাট ও পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়।
ছালিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, রিপন এই বিল্ডিং তৈরি করার সময় স্যারেরা আইসা বাধা দিছিলো। পরে হুনি কেমনে কেমনে যানি সামাধান করছে। এখন রিপনের দেহা দেহি অনেকেই এই খালডা দখল করতাছে। তবে এই খালডা আমাদের কৃষি কাজের জন্য বেশ উপকারি। আমরা চাই প্রশাসন যেন তারাতারি খাল উদ্ধার করে আবার আগের মতো করে দেয়।
দখলদার রিপন বলেন, এ জায়গা আমার ব্যক্তি মালিকানার। যদি প্রমান হয় আমি সরকারি খাল দখল করছি তাহলে আমি আমার বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলবো।
ছালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের তহসিলদার জাকির হোসেন বলেন, খাল দখল করে রিপন প্রসাদ নির্মাণ করছে খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিয়ে আসি। পরে সিদ্ধান্ত হয় আমাদের উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও রিপনের ব্যক্তিগত একজন সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গাটি পরিমাপ করা হবে। কিন্তু অনেকদিন হলেও এই পরিমাপের কাজটি আর করা হয়নি। এখানে আমারও সন্দেহ যদি বাংলাদেশ জরিপের ম্যাপ দিয়ে পরিমাপ করা হয় তাহলে রিপনের দালান সরকারি খালে পরবে। এ বিষয়ে আমি লিখিত ভাবে আমার স্যারদেরকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ভবনটি দেখে আমারো সন্দেহ সঠিক ভাবে পরিমাপ করলে এর বেশ কিছু অংশ খালে নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত কিছুদিন আগে আমাদের উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বদলি হওয়ায় এ বিষয়ে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন নতুন অফিসার জিনি এসেছেন সে এবিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে আমি নিজেই এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি ওই ভবনটি খালের অংশ দখল করে থাকে। তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।