আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ভোরে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সিংহারিয়া কান্দা গ্রামের মোঃ শাহ জালালের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ওই মাছ চাষি।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি শাহ জালাল বলেন, ‘জমি বিক্রি করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পত্তনে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেছিলাম। রেনু পোনা খাদ্য ক্রয়সহ এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। আশা ছিল আর কিছুদিন পরে মাছ বিক্রির মাধ্যমে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা আসবে।
কিন্ত সোমবার ভোরে কে বা কারা বিষ দিয়ে পুকুরের সব মাছ মেরে দিয়েছে। কে এমন ক্ষতি করেছে তা আমি দেখিনি। কিন্তু গ্রামের নয়ন নামের একজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিছুদিন পূর্বে “আমি কি ভাবে মাছ চাষ করি দেখে নিবে” বলে হুমি প্রদান করেছিলো। এখন কী করে ধার-দেনা পরিশোধ করবো।’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সমাজসেবক জালাল উদ্দিন জানান, এটা একটা দুঃখ্যজনক বিষয়, শাহ জালাল একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। সে তার একটা জমি বিক্রি করে এই মাছ চাষ শুরু করেছিলো। কিন্তু আজ তার লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে দূর্বৃত্তরা। যারা এমন ন্যাকারজনক কাজের সাথে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক সাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কেন্দ্রিয় মৎস্যজীবী লীগের সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলার সদস্য সচিব মোঃ রাজীব মুন্সী জানান, চাষি শাহ জালালা জমি বিক্রি করে সে টাকা পুজি খাটিয়ে ব্যায়বহুল পাবদা মাছ চাষ করেছে যা অল্পসংখ্যক চাষি চাষ করে। এখানে তার প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকার মাছ নষ্ট করেছে যা খুবই নিন্দনীয়।
পুকুরের মাছ দেখে এটা এক ধরনের নৃশংসতা মনে হয়েছে। তিনি মামনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে এ কাজে জড়িত অপরাধীদের খুজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।