০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি

  • তারিখ : ০২:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
  • / 1136

আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজলা সদরে দেদার বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি। একশ্রেণির পেশাদার ও মৌসুমি পাখি বিক্রেতা এলাকায় ফেরি করে ও বাজারের মোড়ে বসে এসব অতিথি পাখি বিক্রি করছে। প্রকাশ্যে এসব পাখি বিক্রি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের মুরাদনগর বাজারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পেশাদার পাখি বিক্রেতাকে ফেরি করে পাখি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাঁর হাতে সর্বশেষ বিলুপ্ত প্রায় এক জোড়া ডাহুক পাখি দেখা যায়। ১ হালি পাখি ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। অনেকেই দরদাম করছিলেন। ওই ব্যবসায়ীর দাবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব পাখি কিনে এনে বিক্রি করছেন তিনি। এ ছাড়া একটি চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অতিথি পাখি শিকার করে তাঁর কাছে পৌঁছে দেন। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বক, বালিহাঁস, মাছরাঙা, পানকৌড়ি প্রভিতি। এই অতিথি পাখি জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও বড় ব্যবসায়ীরাই বেশি কেনেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সদরের হামজা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর বাজার থেকে এক জোড়া ডাহুক পাখি ৬২০ টাকায় কিনেছেন তিনি। তবে গ্রামাঞ্চলে নাকি দাম আরও কম।
সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার বলাই চন্দ্র সাহা পাখি শিকার ও বিক্রির বিষয়টি অবলীলায় অস্বীকার করে বলেন। কেউ যদি পাখি শিকার করে আমারা খবর পাই তাহলে সেই পাখি গুলো প্রথমে অবমুক্তি করে দেই। শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে তিনি উদাসীন কন্ঠে বলেন, বড় মাপের শিকারি হলে আমরা মামলা টামলা দেই আর কি।

শেয়ার করুন

মুরাদনগরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি

তারিখ : ০২:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজলা সদরে দেদার বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি। একশ্রেণির পেশাদার ও মৌসুমি পাখি বিক্রেতা এলাকায় ফেরি করে ও বাজারের মোড়ে বসে এসব অতিথি পাখি বিক্রি করছে। প্রকাশ্যে এসব পাখি বিক্রি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের মুরাদনগর বাজারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পেশাদার পাখি বিক্রেতাকে ফেরি করে পাখি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাঁর হাতে সর্বশেষ বিলুপ্ত প্রায় এক জোড়া ডাহুক পাখি দেখা যায়। ১ হালি পাখি ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। অনেকেই দরদাম করছিলেন। ওই ব্যবসায়ীর দাবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব পাখি কিনে এনে বিক্রি করছেন তিনি। এ ছাড়া একটি চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অতিথি পাখি শিকার করে তাঁর কাছে পৌঁছে দেন। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বক, বালিহাঁস, মাছরাঙা, পানকৌড়ি প্রভিতি। এই অতিথি পাখি জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও বড় ব্যবসায়ীরাই বেশি কেনেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সদরের হামজা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর বাজার থেকে এক জোড়া ডাহুক পাখি ৬২০ টাকায় কিনেছেন তিনি। তবে গ্রামাঞ্চলে নাকি দাম আরও কম।
সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার বলাই চন্দ্র সাহা পাখি শিকার ও বিক্রির বিষয়টি অবলীলায় অস্বীকার করে বলেন। কেউ যদি পাখি শিকার করে আমারা খবর পাই তাহলে সেই পাখি গুলো প্রথমে অবমুক্তি করে দেই। শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে তিনি উদাসীন কন্ঠে বলেন, বড় মাপের শিকারি হলে আমরা মামলা টামলা দেই আর কি।