০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে হাসপাতাল সিলগালা

  • তারিখ : ১১:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
  • / 417

আরিফ গাজী :

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে একটি অবৈধ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৭০হাজার টাকা জারিমানা ও হাসপাতাল সিলগালা করেছে প্রশাসন। সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
অভিষেক দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বাঙ্গরাবাজার সংলগ্ন শারমিন আরিফ হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম। জানা যায়, অভিযানের সময় হাসপাতালে কয়েকজন গর্ভবতী ও প্রসূতি নারী ভর্তি
ছিলো। হাসপাতালে ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আবাসিক অথবা দায়িত্বরত কোন চিকিৎসক পায়নি ভ্রাম্যমান আদালত।

এ সময় হাসপাতালে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে কতৃপক্ষ কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে ভ্রাম্যমান আদালত শারমিন আরিফ হাসপাতালের মালিক জুনিয়র মিডওয়াইফ শারমিন আক্তারকে সত্তর হাজার টাকা জরিমানা করে এবং হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এই হাসপাতালে আমরা কোন ডাক্তার ও নার্স পাইনি। একজন জুনিয়র মিডওয়াইফ এই হাসপাতালটি পরিচালনা করছিলো। তাদের বৈধ কোন কাগজপত্র ছিলো না। তাই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছি। মুরাদনগরে কোন লাইসেন্স বিহীন হাসপাতাল চলতে দেয়া হবে না। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশ বলেন শারমিন আরিফ হাসপাতালটি কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার বিহীন চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে খবর পেয়ে আমরা এই হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালাই। অভিযানে মালিককে সত্তর হাজার টাকা জরিমানাসহ হাসপাতালটি সিলগালা করি।

শেয়ার করুন

মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে হাসপাতাল সিলগালা

তারিখ : ১১:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২

আরিফ গাজী :

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে একটি অবৈধ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৭০হাজার টাকা জারিমানা ও হাসপাতাল সিলগালা করেছে প্রশাসন। সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
অভিষেক দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বাঙ্গরাবাজার সংলগ্ন শারমিন আরিফ হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম। জানা যায়, অভিযানের সময় হাসপাতালে কয়েকজন গর্ভবতী ও প্রসূতি নারী ভর্তি
ছিলো। হাসপাতালে ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আবাসিক অথবা দায়িত্বরত কোন চিকিৎসক পায়নি ভ্রাম্যমান আদালত।

এ সময় হাসপাতালে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে কতৃপক্ষ কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে ভ্রাম্যমান আদালত শারমিন আরিফ হাসপাতালের মালিক জুনিয়র মিডওয়াইফ শারমিন আক্তারকে সত্তর হাজার টাকা জরিমানা করে এবং হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এই হাসপাতালে আমরা কোন ডাক্তার ও নার্স পাইনি। একজন জুনিয়র মিডওয়াইফ এই হাসপাতালটি পরিচালনা করছিলো। তাদের বৈধ কোন কাগজপত্র ছিলো না। তাই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছি। মুরাদনগরে কোন লাইসেন্স বিহীন হাসপাতাল চলতে দেয়া হবে না। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাশ বলেন শারমিন আরিফ হাসপাতালটি কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার বিহীন চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে খবর পেয়ে আমরা এই হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালাই। অভিযানে মালিককে সত্তর হাজার টাকা জরিমানাসহ হাসপাতালটি সিলগালা করি।