১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

লাকসামে একসঙ্গে ৫ শিশুর জন্ম; বাঁচানো গেল না তিনজনকে

  • তারিখ : ০৮:১৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / 479

লাকসাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসামে কোন ধরনের অস্ত্রোপাচার ছাড়াই শারমিন আক্তার নামক প্রসূতির জন্ম নেয়া ৫ নবজাতকের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুই নবজাতকের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় পরিবারের সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছেন। আদরের দুই নবজাতককে বাঁচাতে দেশের বিত্তবানদের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন তাদের পিতা মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমান।

জানা যায়, গত বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন লাকসামের উল্টরদা ইউনিয়নের পোলাইয়া গ্রামের গৃহবধূ শারমিন আক্তার। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে। জন্মের পর নবজাতকদের ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসার উদ্দেশে কুমিল্লায় রওনা হলে অক্সিজেনের অভাবে পথিমধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। অপর তিন নবজাতককে কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের বেবি-ইনকিউবেটরে রাখা হয়।

ব্যয়বহুল চিকিৎসা হওয়ায় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিট সঙ্কটের কারণে ভর্তি করাতে না পেরে ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের ইনকিউবেটরে তিন নবজাতককে ভর্তি করা হলেও রবিবার (১৬ আগস্ট) রাতে আরও এক ছেলে মারা যায়। সেখানে তাদের চিকিৎসায় প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে।

মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমানের এত টাকা খরচ বহন করার সামর্থ নেই। তাই বেঁচে থাকা দুই নবজাতককে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের শিশু ইউনিটে স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মিজানুর রহমান বলেন, আমার স্ত্রীর একে একে ৫ সন্তান জন্ম নেয়ায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা খুবই আনন্দিত ছিল। কিন্তু তিনটি নবজাতক মৃত্যুবরণ করায় আমরা গভীর শোকাহত। অন্য দুইজনের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় চরম হিমশিম খাচ্ছি। মাদ্রাসা থেকে যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। আদরের দুইটি সন্তানকে বাঁচাতে তিনি দেশের বিত্তবানদের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

লাকসামে একসঙ্গে ৫ শিশুর জন্ম; বাঁচানো গেল না তিনজনকে

তারিখ : ০৮:১৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

লাকসাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসামে কোন ধরনের অস্ত্রোপাচার ছাড়াই শারমিন আক্তার নামক প্রসূতির জন্ম নেয়া ৫ নবজাতকের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুই নবজাতকের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় পরিবারের সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছেন। আদরের দুই নবজাতককে বাঁচাতে দেশের বিত্তবানদের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন তাদের পিতা মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমান।

জানা যায়, গত বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন লাকসামের উল্টরদা ইউনিয়নের পোলাইয়া গ্রামের গৃহবধূ শারমিন আক্তার। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে। জন্মের পর নবজাতকদের ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসার উদ্দেশে কুমিল্লায় রওনা হলে অক্সিজেনের অভাবে পথিমধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। অপর তিন নবজাতককে কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের বেবি-ইনকিউবেটরে রাখা হয়।

ব্যয়বহুল চিকিৎসা হওয়ায় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিট সঙ্কটের কারণে ভর্তি করাতে না পেরে ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের ইনকিউবেটরে তিন নবজাতককে ভর্তি করা হলেও রবিবার (১৬ আগস্ট) রাতে আরও এক ছেলে মারা যায়। সেখানে তাদের চিকিৎসায় প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে।

মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমানের এত টাকা খরচ বহন করার সামর্থ নেই। তাই বেঁচে থাকা দুই নবজাতককে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের শিশু ইউনিটে স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মিজানুর রহমান বলেন, আমার স্ত্রীর একে একে ৫ সন্তান জন্ম নেয়ায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা খুবই আনন্দিত ছিল। কিন্তু তিনটি নবজাতক মৃত্যুবরণ করায় আমরা গভীর শোকাহত। অন্য দুইজনের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় চরম হিমশিম খাচ্ছি। মাদ্রাসা থেকে যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। আদরের দুইটি সন্তানকে বাঁচাতে তিনি দেশের বিত্তবানদের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন।