০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

লাকসামে মাস্ক পরিধানে অনীহা জনসাধারণের

  • তারিখ : ১১:০১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • / 362

মোজাম্মেল হক আলম লাকসাম :
লাকসামে করোনা সংক্রমণের সাড়ে তিন মাসে সংগৃহিত ১৬০৭ জনের নমুনায় ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল এ উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ক্রমান্বয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে তা কিছুটা বেড়েছে। পক্ষান্তরে লাকসামে দিন দিন কমছে জনসচেতনতা। মাস্ক পরিধানে অনীহা জনসাধারণের। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণের মাঝে সরকারি নির্দেশনা বা সচেতনতা নেই বললেই চলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দোগাইয়া গ্রামে নারায়নগঞ্জ ফেরত এক যুবকের করোনা শনাক্তের মধ্য দিয়ে লাকসামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে করোনায় মৃত সহকর্মীর সংস্পর্শ থেকে আসা পৌরশহরের দক্ষিণ লাকসাম সাহা পাড়া এলাকার দুই সহোদরের করোনা শনাক্ত হয়। তার পরিবারের বাকি সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের পর ২৯ এপ্রিল একই পরিবারের আরো ছয় সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়।

মে মাসের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে লাকসামের বাসায় আসেন জনৈক ব্যবসায়ী। ১৫ মে তার করোনা শনাক্ত হলে তার পরিবারের বাকী পাঁচ সদস্যেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৮ মে তাদের সকলের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১৮ মে পর্যন্ত লাকসামে নোয়াখালী ফেরত করোনা আক্রান্ত দুই সহোদর ও তার পরিবার এবং চট্টগ্রাম ফেরত করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা সহ সর্বমোট ২২ জন করোনা আক্রান্ত ছিলো। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত লাকসামে সর্বমোট ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩১০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ০৯ জন।

এদিকে লাকসামে দিন দিন কমছে জনসচেতনতা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে। করোনার আবির্ভাবের পূর্বে মানুষ যেভাবে অবাধ চলাচল করতো, এখনও ঠিক সেভাবেই চলাচল করে। প্রতিদিন দৌলতগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি বাজারেই দিনভর মানুষের উপচে পড়া ভীড় থাকে।

প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হলে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছে না কেউই। সরকার কর্তৃক মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক ঘোষনা করা হলেও তৃণমূল পর্যায়ে মাস্ক পরিধানে গুরুত্ব দিচ্ছে না বেশির ভাগ জনসাধারণ। অপরদিকে করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের পর থেকে নমুনা জমা দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন উপসর্গ বহনকারী অনেকেই। যার ফলে এ উপজেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা অশনাক্তই বলা যায়।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আলী লাকসামে ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

লাকসামে মাস্ক পরিধানে অনীহা জনসাধারণের

তারিখ : ১১:০১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

মোজাম্মেল হক আলম লাকসাম :
লাকসামে করোনা সংক্রমণের সাড়ে তিন মাসে সংগৃহিত ১৬০৭ জনের নমুনায় ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল এ উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ক্রমান্বয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে তা কিছুটা বেড়েছে। পক্ষান্তরে লাকসামে দিন দিন কমছে জনসচেতনতা। মাস্ক পরিধানে অনীহা জনসাধারণের। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণের মাঝে সরকারি নির্দেশনা বা সচেতনতা নেই বললেই চলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দোগাইয়া গ্রামে নারায়নগঞ্জ ফেরত এক যুবকের করোনা শনাক্তের মধ্য দিয়ে লাকসামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে করোনায় মৃত সহকর্মীর সংস্পর্শ থেকে আসা পৌরশহরের দক্ষিণ লাকসাম সাহা পাড়া এলাকার দুই সহোদরের করোনা শনাক্ত হয়। তার পরিবারের বাকি সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের পর ২৯ এপ্রিল একই পরিবারের আরো ছয় সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়।

মে মাসের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে লাকসামের বাসায় আসেন জনৈক ব্যবসায়ী। ১৫ মে তার করোনা শনাক্ত হলে তার পরিবারের বাকী পাঁচ সদস্যেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৮ মে তাদের সকলের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১৮ মে পর্যন্ত লাকসামে নোয়াখালী ফেরত করোনা আক্রান্ত দুই সহোদর ও তার পরিবার এবং চট্টগ্রাম ফেরত করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা সহ সর্বমোট ২২ জন করোনা আক্রান্ত ছিলো। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত লাকসামে সর্বমোট ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩১০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ০৯ জন।

এদিকে লাকসামে দিন দিন কমছে জনসচেতনতা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে। করোনার আবির্ভাবের পূর্বে মানুষ যেভাবে অবাধ চলাচল করতো, এখনও ঠিক সেভাবেই চলাচল করে। প্রতিদিন দৌলতগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি বাজারেই দিনভর মানুষের উপচে পড়া ভীড় থাকে।

প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হলে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছে না কেউই। সরকার কর্তৃক মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক ঘোষনা করা হলেও তৃণমূল পর্যায়ে মাস্ক পরিধানে গুরুত্ব দিচ্ছে না বেশির ভাগ জনসাধারণ। অপরদিকে করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের পর থেকে নমুনা জমা দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন উপসর্গ বহনকারী অনেকেই। যার ফলে এ উপজেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা অশনাক্তই বলা যায়।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আলী লাকসামে ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।