আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্রলীগের সব কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা, থানার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ কর্মী সৃষ্টি করতে হবে। ডাক দিলে এক ঘণ্টার নোটিশে যেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ থেকে ১০ হাজার কর্মী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জমায়েত হয় আমরা এমন ছাত্রলীগ চাই। এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
নানক বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশের মানুশের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে তখন তার জীবনে হুমকির মৃখে পড়বেই। স্বার্থান্বেষীরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে প্রতিনিয়ত। ছাত্রলীগের কর্মীদের যেমন সেগুলো নজর রাখতে হবে। তেমনি ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালানো সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের ষড়ঐযন্ত্র নেমে নেই, বর্তমানে সুশীলের রূপ ধরে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন তারা এখনও দেখে। ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সচেতন থাকতে হবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জিয়া রহমান ও খন্দকার মোস্তাক একই সত্তা। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় গিয়ে ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে সেটি প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
যমুনা টিভি