১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লার ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী দোকানীকে পিটিয়ে হত্যা

  • তারিখ : ০৯:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
  • / 1407

মাহফুজ বাবু :
কুমিল্লা সদর উপজেলা সীমান্তের নিশ্চিন্তপুর ৭৮নং পিলার সংলগ্ন হানকিজলা নামক এলাকায় আনোয়ার হোসেন আনু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় মাদক কারবারি কামরুল ও ফারুক নামের ২যুবক। শনিবার বেলা পৌনে ২টায় ভারত সীমান্তের ইউএনসি নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির বরাত দিয়ে জানা যায়, হানকিরজলা এলাকার মৃত ছেতু মিয়ার ছেলে নিহত আনু মিয়া এলাকায় মুদি ও চায়ের দোকান পরিচালনা করতেন। ভারত ও বাংলাদেশে দৈত ভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ইউএনসি নগর এলাকার মৃতঃ হাকিম কবিরাজের ছেলে কুখ্যাত মাদক কারবারি কামরুলের কাছে দোকান বকেয়ার ৪৮০টাকা পাওনা ছিলো। শনিবার দুপুরে সীমান্তের ৭৮নং পিলারের কাছে দাড়িয়ে আনু মিয়াকে ৪টি দধির কাপ নিয়ে যেতে বলে। আনু মিয়া দধির কাপ নিয়ে গেলে কামরুল পরে টাকা দেবে বলে জানায়। এসময় আনু মিয়া ও কামরুলের সাথে দোকান বাকীর টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কামরুল (২৮) ও একই এলাকার অহিদ মিয়ার ছেলে ভারতীয় নাগরিক ফারুক মিয়া (৩০) আনু মিয়াকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। আনু মিয়ার মাথায় সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থল (ভারত সীমান্তে) তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কামরুল ও ফারুক। খবর পেয়ে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউএনসি নগর এলাকাটি ভারতের সোনামুড়া থানা এলাকায় হওয়ায় সোনামুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের লাশ সোনামুড়া থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পাঁচথুবী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল। তিনি বলেন, কামরুল ভারতীয় নাগরিক হলেও তার মা এবং বোন বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করে বলে শুনেছি। হত্যাকারী কামরুল এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এর আগেও মাদক ব্যবসার দ্বন্দের জেরে স্থানীয় বাংলাদেশী এক যুবকের হাত কেটে নিয়ে গেছে বলে জেনেছি। সীমান্তের ওপারের মাদক কারবারিদের এ চক্রটি প্রায়ই এ এলাকার মানুষের ওপর নির্যাতন চালায় বলে স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেছে। এসব মাদক কারবারিদের সাথে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের শখ্যতা ও তাদের সরাসরি মদদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ঘটনার পর থেকেই নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লার ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী দোকানীকে পিটিয়ে হত্যা

তারিখ : ০৯:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০

মাহফুজ বাবু :
কুমিল্লা সদর উপজেলা সীমান্তের নিশ্চিন্তপুর ৭৮নং পিলার সংলগ্ন হানকিজলা নামক এলাকায় আনোয়ার হোসেন আনু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় মাদক কারবারি কামরুল ও ফারুক নামের ২যুবক। শনিবার বেলা পৌনে ২টায় ভারত সীমান্তের ইউএনসি নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির বরাত দিয়ে জানা যায়, হানকিরজলা এলাকার মৃত ছেতু মিয়ার ছেলে নিহত আনু মিয়া এলাকায় মুদি ও চায়ের দোকান পরিচালনা করতেন। ভারত ও বাংলাদেশে দৈত ভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ইউএনসি নগর এলাকার মৃতঃ হাকিম কবিরাজের ছেলে কুখ্যাত মাদক কারবারি কামরুলের কাছে দোকান বকেয়ার ৪৮০টাকা পাওনা ছিলো। শনিবার দুপুরে সীমান্তের ৭৮নং পিলারের কাছে দাড়িয়ে আনু মিয়াকে ৪টি দধির কাপ নিয়ে যেতে বলে। আনু মিয়া দধির কাপ নিয়ে গেলে কামরুল পরে টাকা দেবে বলে জানায়। এসময় আনু মিয়া ও কামরুলের সাথে দোকান বাকীর টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কামরুল (২৮) ও একই এলাকার অহিদ মিয়ার ছেলে ভারতীয় নাগরিক ফারুক মিয়া (৩০) আনু মিয়াকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। আনু মিয়ার মাথায় সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থল (ভারত সীমান্তে) তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কামরুল ও ফারুক। খবর পেয়ে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউএনসি নগর এলাকাটি ভারতের সোনামুড়া থানা এলাকায় হওয়ায় সোনামুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের লাশ সোনামুড়া থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পাঁচথুবী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল। তিনি বলেন, কামরুল ভারতীয় নাগরিক হলেও তার মা এবং বোন বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করে বলে শুনেছি। হত্যাকারী কামরুল এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এর আগেও মাদক ব্যবসার দ্বন্দের জেরে স্থানীয় বাংলাদেশী এক যুবকের হাত কেটে নিয়ে গেছে বলে জেনেছি। সীমান্তের ওপারের মাদক কারবারিদের এ চক্রটি প্রায়ই এ এলাকার মানুষের ওপর নির্যাতন চালায় বলে স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেছে। এসব মাদক কারবারিদের সাথে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের শখ্যতা ও তাদের সরাসরি মদদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ঘটনার পর থেকেই নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।