০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে শিশুর মৃত্যু

  • তারিখ : ১২:২৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • / 384

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

বেটারীচালিত রিকশায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আরাফাত হোসেন সানি (৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আরাফাত কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের রিকশা চালক এমরান হোসেনের ছেলে। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাশ্ববর্তী ভুলুয়া পাড়া বাংলা বাজারের গ্যারেজ মালিক মোহাম্মদ সাদ্দামের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী শিশু আরাফাতের পরিবারের।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কাজী জোড় পুকুরিয়া গ্রামের মহিন উদ্দিন ভান্ডারীর ছেলে এমরান হোসেন বেটারীচালিত রিকশাটি কয়েকদিন পূর্বে পাশ্ববর্তী বাংলা বাজারের অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক ভুলুয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দামের নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করে। ক্রয় করার পর থেকে রিকশায় হাত দিলেই বৈদ্যুতিক শক করায় শনিবার গেরেজ মালিকের কাছে রিকশাটি নিয়ে যায় এমরান।

এ সময় সাদ্দাম এ শকে কোন সমস্যা হবেনা বলায় রিকশাটি বাড়ীতে নিয়ে আসলে রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলার চলে বাড়ীর উঠুনে থাকা রিকশাটিতে হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয় এমরানের ছেলে আরাফাত হোসেন। এসময় আরাফাতের মা রিনা বেগম ছেলেকে রিকশার পাশে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে শিশুটির পিতা এমরান এসে তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু আরাফাত হোসেন সানির পিতা এমরান হোসেন ও দাদা মহিন উদ্দিন ভান্ডারী বলেন, গ্যারেজ মালিক সাদ্দাম যদি রিকশাটি ঠিক করে দিতো তাহলে আজ আরাফাতের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না। আমরা গ্যারেজ মালিক সাদ্দামের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছি।

অভিযুক্ত গেরেজ মালিক মোহাম্মদ সাদ্দাম বলেন, গত ৫/৬ দিন পূর্বে রিকশাটি আমার কাছ থেকে ক্রয় করে। রিকশা নেয়ার পর থেকে আমার কাছে এ রিকশা ঠিক করতে কেউ আসেনি। আমি শুনেছি চুরি হওয়ার ভয়ে রিকশাটিতে বিদ্যুতের লাইন দিয়ে রাখে এমরান সেই কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে শিশুর মৃত্যু

তারিখ : ১২:২৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

বেটারীচালিত রিকশায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আরাফাত হোসেন সানি (৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আরাফাত কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের রিকশা চালক এমরান হোসেনের ছেলে। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাশ্ববর্তী ভুলুয়া পাড়া বাংলা বাজারের গ্যারেজ মালিক মোহাম্মদ সাদ্দামের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী শিশু আরাফাতের পরিবারের।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কাজী জোড় পুকুরিয়া গ্রামের মহিন উদ্দিন ভান্ডারীর ছেলে এমরান হোসেন বেটারীচালিত রিকশাটি কয়েকদিন পূর্বে পাশ্ববর্তী বাংলা বাজারের অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক ভুলুয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দামের নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করে। ক্রয় করার পর থেকে রিকশায় হাত দিলেই বৈদ্যুতিক শক করায় শনিবার গেরেজ মালিকের কাছে রিকশাটি নিয়ে যায় এমরান।

এ সময় সাদ্দাম এ শকে কোন সমস্যা হবেনা বলায় রিকশাটি বাড়ীতে নিয়ে আসলে রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলার চলে বাড়ীর উঠুনে থাকা রিকশাটিতে হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয় এমরানের ছেলে আরাফাত হোসেন। এসময় আরাফাতের মা রিনা বেগম ছেলেকে রিকশার পাশে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে শিশুটির পিতা এমরান এসে তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু আরাফাত হোসেন সানির পিতা এমরান হোসেন ও দাদা মহিন উদ্দিন ভান্ডারী বলেন, গ্যারেজ মালিক সাদ্দাম যদি রিকশাটি ঠিক করে দিতো তাহলে আজ আরাফাতের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না। আমরা গ্যারেজ মালিক সাদ্দামের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছি।

অভিযুক্ত গেরেজ মালিক মোহাম্মদ সাদ্দাম বলেন, গত ৫/৬ দিন পূর্বে রিকশাটি আমার কাছ থেকে ক্রয় করে। রিকশা নেয়ার পর থেকে আমার কাছে এ রিকশা ঠিক করতে কেউ আসেনি। আমি শুনেছি চুরি হওয়ার ভয়ে রিকশাটিতে বিদ্যুতের লাইন দিয়ে রাখে এমরান সেই কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।