০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

টাকা পাচারের তথ্য আমাদের জানা নেই-অর্থমন্ত্রী

  • তারিখ : ০৭:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
  • / 923

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ থেকে বছরে ৯৮ হাজার কোটি টাকা পাচারের যে তথ্য ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রকাশ করেছে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। সরকার জানেই না, কিভাবে টাকা পাচার হলো।

রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। টাকা পাচারের তথ্য জিএফআই কোথায় পেল সেটা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

জিএফআই সারা বিশ্বে টাকা পাচার নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে বছরে এক হাজার ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আমদানির সময় পণ্যমূল্য বাড়িয়ে আর রপ্তানির সময় দাম কম দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ৯৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। ২০১৫ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জিএফআই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সরকারের কাছে এ বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য চাইলেও তা সরবরাহ করা হয়নি বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।

বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জিএফআই কোথা থেকে তথ্য পেল, আমরা তা জানি না। আমি বলে দিলাম আমেরিকা থেকে বছরে ৩০ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। তাতেই হয়ে গেল? সরকার এমন তথ্য জানেই না। আমি তো সরকারের একটা অংশ। আমি তো টাকা পাচারের তথ্য পেতাম। টাকা যদি বিদেশে পাচার হয়ে যায়, সেটা তো অর্থ মন্ত্রণালয়ের জানার কথা।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কেউ টাকা পাচার করে থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়া আমাদের আর কী করার আছে? কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে মামলা করি, তারপর তদন্ত হয়। তদন্তে প্রমাণিত হলে কাউকে জেলে পাঠানো হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জিএফআই যদি এসব বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে চায় তাহলে আমাদের কাছে তো আসতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, অর্থ মন্ত্রণালয় আছে। কিন্তু কারো কাছেই তো তারা আসেনি।’

অর্থমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জিএফআইয়ের কাজই হলো এসব তথ্য বের করা, তথ্য বিশ্লেষণ করা। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে আমাকে তো জানাবে। পত্রিকায় এসব তথ্য দিয়ে কী লাভ?’ তিনি বলেন, ‘জিএফআই সরকারকে দেখতে পারে না। ধারণার ওপর ভিত্তি করে অনেক কিছু বলা যায়। তারা ধারণার ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। অর্থপাচারের বিষয়ে যেহেতু জানি না, তাই এ বিষয়ে কথা বলব না। বিষয়টি আমরা দেখব ও বিশ্লেষণ করব। পরে আপনাদের জানাব।’

শেয়ার করুন

টাকা পাচারের তথ্য আমাদের জানা নেই-অর্থমন্ত্রী

তারিখ : ০৭:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ থেকে বছরে ৯৮ হাজার কোটি টাকা পাচারের যে তথ্য ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রকাশ করেছে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। সরকার জানেই না, কিভাবে টাকা পাচার হলো।

রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। টাকা পাচারের তথ্য জিএফআই কোথায় পেল সেটা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

জিএফআই সারা বিশ্বে টাকা পাচার নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে বছরে এক হাজার ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আমদানির সময় পণ্যমূল্য বাড়িয়ে আর রপ্তানির সময় দাম কম দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ৯৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। ২০১৫ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জিএফআই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সরকারের কাছে এ বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য চাইলেও তা সরবরাহ করা হয়নি বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।

বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জিএফআই কোথা থেকে তথ্য পেল, আমরা তা জানি না। আমি বলে দিলাম আমেরিকা থেকে বছরে ৩০ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। তাতেই হয়ে গেল? সরকার এমন তথ্য জানেই না। আমি তো সরকারের একটা অংশ। আমি তো টাকা পাচারের তথ্য পেতাম। টাকা যদি বিদেশে পাচার হয়ে যায়, সেটা তো অর্থ মন্ত্রণালয়ের জানার কথা।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কেউ টাকা পাচার করে থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়া আমাদের আর কী করার আছে? কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে মামলা করি, তারপর তদন্ত হয়। তদন্তে প্রমাণিত হলে কাউকে জেলে পাঠানো হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জিএফআই যদি এসব বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে চায় তাহলে আমাদের কাছে তো আসতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, অর্থ মন্ত্রণালয় আছে। কিন্তু কারো কাছেই তো তারা আসেনি।’

অর্থমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জিএফআইয়ের কাজই হলো এসব তথ্য বের করা, তথ্য বিশ্লেষণ করা। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে আমাকে তো জানাবে। পত্রিকায় এসব তথ্য দিয়ে কী লাভ?’ তিনি বলেন, ‘জিএফআই সরকারকে দেখতে পারে না। ধারণার ওপর ভিত্তি করে অনেক কিছু বলা যায়। তারা ধারণার ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। অর্থপাচারের বিষয়ে যেহেতু জানি না, তাই এ বিষয়ে কথা বলব না। বিষয়টি আমরা দেখব ও বিশ্লেষণ করব। পরে আপনাদের জানাব।’