০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

নাঙ্গলকোটে আসামী আটকের চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ স্কুল ছাত্রসহ আহত ৮

  • তারিখ : ১১:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯
  • / 1310

মো: ওমর ফারুক,নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা উত্তর পাড়া গ্রামে পুলিশ ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর অবরোধের মুখে পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়নতন্ত্রে আনে। এই ঘটনায় পুলিশসহ আট জন আহত হয়েছে। এছাড়াও এক স্কুল ছাত্রসহ দুইজন গুলিবৃদ্ধ হয়েছে। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । গুলিবিদ্ধ দুই জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,বুধবার রাত প্রায় দুইটার দিকে নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ উপ-সহকারী পরিদর্শক (এ এস আই) আ: রহিম তার সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাঙ্গড্ডা উত্তর পাড়া গ্রামে ৮ মামলার আসামী মফিজুর রহমানের ছেলে সোহাগকে আটক করতে যায়।
এসময় পুলিশ সোহাগের হাতে হাতকড়া পড়ালে তখন সেই ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। এতে গ্রামবাসী পুলিশকে অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়নতন্ত্রে আন্তে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। গুলিতে ওই গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে রাকিব (১২) গুলি বিদ্ধ হয় এবং সোহাগের ছোট ভাই ফারুকও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও আহত হয়েছে, সোহাগের মা প্রতিবন্ধী রুফিয়া বেগম,স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও সোহাগ নিজেই। অপরদিকে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে,আহতরা হলেন,পুলিশ উপ-সহকারী পরিদর্শক (এ এসআই)আ: রহিম,কনেস্টবল জাহিদ ও মালেক। দুইজন কনেস্টবলকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর এ এসআই আ: রহিমকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় নাঙ্গলকোট থানার ওসি।
এই ঘটনায় সোহাগ অভিযোগ করে বলেন,রাতে বিনা ওয়ারেন্ট পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়।এতে গ্রেপ্তারের কারন জান্তে চাইলে তখন পুলিশ বলে, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেখাতে না পারায় গ্রামবাসী পুলিশকে অবরোধ করে রাখে। এতে পুলিশ গুলো করলে তার ভাই ফারুক ও পাশ্ববর্তী বাড়ী স্কুল পড়ুয়া রাকিব গুলি বিদ্ধ হয়। পরে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসী শান্ত হয়। এই বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানায়,রাতে ওই গ্রামে ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী সোহাগকে আটক করতে যায় পুলিশ। এতে সোহাগ ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ আত্ম রক্ষার স্বার্থে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনজন পুলিশ আহত হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ৮ টি মামলা রয়েছে।

শেয়ার করুন

নাঙ্গলকোটে আসামী আটকের চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ স্কুল ছাত্রসহ আহত ৮

তারিখ : ১১:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

মো: ওমর ফারুক,নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা উত্তর পাড়া গ্রামে পুলিশ ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর অবরোধের মুখে পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়নতন্ত্রে আনে। এই ঘটনায় পুলিশসহ আট জন আহত হয়েছে। এছাড়াও এক স্কুল ছাত্রসহ দুইজন গুলিবৃদ্ধ হয়েছে। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । গুলিবিদ্ধ দুই জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,বুধবার রাত প্রায় দুইটার দিকে নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ উপ-সহকারী পরিদর্শক (এ এস আই) আ: রহিম তার সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাঙ্গড্ডা উত্তর পাড়া গ্রামে ৮ মামলার আসামী মফিজুর রহমানের ছেলে সোহাগকে আটক করতে যায়।
এসময় পুলিশ সোহাগের হাতে হাতকড়া পড়ালে তখন সেই ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। এতে গ্রামবাসী পুলিশকে অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়নতন্ত্রে আন্তে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। গুলিতে ওই গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে রাকিব (১২) গুলি বিদ্ধ হয় এবং সোহাগের ছোট ভাই ফারুকও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও আহত হয়েছে, সোহাগের মা প্রতিবন্ধী রুফিয়া বেগম,স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও সোহাগ নিজেই। অপরদিকে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে,আহতরা হলেন,পুলিশ উপ-সহকারী পরিদর্শক (এ এসআই)আ: রহিম,কনেস্টবল জাহিদ ও মালেক। দুইজন কনেস্টবলকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর এ এসআই আ: রহিমকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় নাঙ্গলকোট থানার ওসি।
এই ঘটনায় সোহাগ অভিযোগ করে বলেন,রাতে বিনা ওয়ারেন্ট পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়।এতে গ্রেপ্তারের কারন জান্তে চাইলে তখন পুলিশ বলে, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেখাতে না পারায় গ্রামবাসী পুলিশকে অবরোধ করে রাখে। এতে পুলিশ গুলো করলে তার ভাই ফারুক ও পাশ্ববর্তী বাড়ী স্কুল পড়ুয়া রাকিব গুলি বিদ্ধ হয়। পরে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসী শান্ত হয়। এই বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানায়,রাতে ওই গ্রামে ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী সোহাগকে আটক করতে যায় পুলিশ। এতে সোহাগ ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ আত্ম রক্ষার স্বার্থে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনজন পুলিশ আহত হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ৮ টি মামলা রয়েছে।