০৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় যৌথ অভিযানে রিভলবার-এলজি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪ কুমিল্লা সদর দক্ষিণে মাদক ব্যবসায়ী বিল্লালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক

মনোহরগঞ্জে পরিকল্পনাবহির্ভূত স্লুইস গেইটের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার কৃষক

  • তারিখ : ০৪:০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
  • / 1046

আকবর হোসেন:

ডাকাতিয়া নদীর মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা ও চড্ডা গ্রামের অংশে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে পরিকল্পনাবহির্ভূত ভাবে তৈরী হয় স্লুইস গেইট। যা কৃষকদের মাঝে প্রত্যাশার বদলে হতাশাই ডেকে আনে।শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এই গেইট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু খালের পাড় নিচু হওয়ার কারনে পানি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। আবার পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকের কথা চিন্তা করে বাঁধ নির্মাণ করে পল্টন বসিয়ে একবছর সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে। পরবর্তীতে সেই পল্টন অপসারণ করা হয়। কিন্তু বাঁধ অপসারন করা হয় নাই। বর্তমানে বাঁধের কারনে খালটিতে পানি আসতে বাধাগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত জোয়ার না হলে খালটিতে পানি প্রবেশ করে না। বর্তমানে হাওরা থেকে শুরু করে বাঁইশগাও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কৃষক পানির অভাবে চাষাবাদ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন। স্থানীয় প্রসাশনের কাছে জোরালো আবেদন উক্ত জায়গাটি পরিদর্শন পূর্বক স্লুইস গেইট সংলগ্ন বাঁধটি অপসারন পূর্বক খালটিতে পানি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকের চাষাবাদে সহায়তা করা। তাছাড়া খালটিও ফিরে পাবে তার চিরচেনা রুপ। এদিকে কোটি টাকার হাওরা ব্রিজ টি কোন কাজে না আশায় মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মহোদয়ের আন্তরিকতায় ব্রিজটিকে কাজে লাগানোর জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এই হাওরা ব্রিজটিও তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন হোসেন জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি জানিনা। তবে আগামীকাল দেখতে যাবো। কৃষকরা যেভাবে উপকৃত হবে সেটাই করবো। বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিএসসি জানান, এই স্লইস গেইট টি আমাদের জন্য অভিশাপ। কারণ এটি কোন কাজেই আসছে না। এটি থাকার কারণে পানি চলাচল করতে পারেনা। ফলে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও বাঁধটির বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবো। আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

মনোহরগঞ্জে পরিকল্পনাবহির্ভূত স্লুইস গেইটের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার কৃষক

তারিখ : ০৪:০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

আকবর হোসেন:

ডাকাতিয়া নদীর মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা ও চড্ডা গ্রামের অংশে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে পরিকল্পনাবহির্ভূত ভাবে তৈরী হয় স্লুইস গেইট। যা কৃষকদের মাঝে প্রত্যাশার বদলে হতাশাই ডেকে আনে।শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এই গেইট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু খালের পাড় নিচু হওয়ার কারনে পানি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। আবার পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকের কথা চিন্তা করে বাঁধ নির্মাণ করে পল্টন বসিয়ে একবছর সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে। পরবর্তীতে সেই পল্টন অপসারণ করা হয়। কিন্তু বাঁধ অপসারন করা হয় নাই। বর্তমানে বাঁধের কারনে খালটিতে পানি আসতে বাধাগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত জোয়ার না হলে খালটিতে পানি প্রবেশ করে না। বর্তমানে হাওরা থেকে শুরু করে বাঁইশগাও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কৃষক পানির অভাবে চাষাবাদ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন। স্থানীয় প্রসাশনের কাছে জোরালো আবেদন উক্ত জায়গাটি পরিদর্শন পূর্বক স্লুইস গেইট সংলগ্ন বাঁধটি অপসারন পূর্বক খালটিতে পানি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকের চাষাবাদে সহায়তা করা। তাছাড়া খালটিও ফিরে পাবে তার চিরচেনা রুপ। এদিকে কোটি টাকার হাওরা ব্রিজ টি কোন কাজে না আশায় মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মহোদয়ের আন্তরিকতায় ব্রিজটিকে কাজে লাগানোর জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এই হাওরা ব্রিজটিও তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন হোসেন জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি জানিনা। তবে আগামীকাল দেখতে যাবো। কৃষকরা যেভাবে উপকৃত হবে সেটাই করবো। বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিএসসি জানান, এই স্লইস গেইট টি আমাদের জন্য অভিশাপ। কারণ এটি কোন কাজেই আসছে না। এটি থাকার কারণে পানি চলাচল করতে পারেনা। ফলে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও বাঁধটির বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবো। আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।