০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

মনোহরগঞ্জে পরিকল্পনাবহির্ভূত স্লুইস গেইটের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার কৃষক

  • তারিখ : ০৪:০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
  • / 1069

আকবর হোসেন:

ডাকাতিয়া নদীর মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা ও চড্ডা গ্রামের অংশে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে পরিকল্পনাবহির্ভূত ভাবে তৈরী হয় স্লুইস গেইট। যা কৃষকদের মাঝে প্রত্যাশার বদলে হতাশাই ডেকে আনে।শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এই গেইট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু খালের পাড় নিচু হওয়ার কারনে পানি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। আবার পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকের কথা চিন্তা করে বাঁধ নির্মাণ করে পল্টন বসিয়ে একবছর সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে। পরবর্তীতে সেই পল্টন অপসারণ করা হয়। কিন্তু বাঁধ অপসারন করা হয় নাই। বর্তমানে বাঁধের কারনে খালটিতে পানি আসতে বাধাগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত জোয়ার না হলে খালটিতে পানি প্রবেশ করে না। বর্তমানে হাওরা থেকে শুরু করে বাঁইশগাও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কৃষক পানির অভাবে চাষাবাদ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন। স্থানীয় প্রসাশনের কাছে জোরালো আবেদন উক্ত জায়গাটি পরিদর্শন পূর্বক স্লুইস গেইট সংলগ্ন বাঁধটি অপসারন পূর্বক খালটিতে পানি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকের চাষাবাদে সহায়তা করা। তাছাড়া খালটিও ফিরে পাবে তার চিরচেনা রুপ। এদিকে কোটি টাকার হাওরা ব্রিজ টি কোন কাজে না আশায় মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মহোদয়ের আন্তরিকতায় ব্রিজটিকে কাজে লাগানোর জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এই হাওরা ব্রিজটিও তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন হোসেন জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি জানিনা। তবে আগামীকাল দেখতে যাবো। কৃষকরা যেভাবে উপকৃত হবে সেটাই করবো। বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিএসসি জানান, এই স্লইস গেইট টি আমাদের জন্য অভিশাপ। কারণ এটি কোন কাজেই আসছে না। এটি থাকার কারণে পানি চলাচল করতে পারেনা। ফলে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও বাঁধটির বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবো। আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

মনোহরগঞ্জে পরিকল্পনাবহির্ভূত স্লুইস গেইটের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার কৃষক

তারিখ : ০৪:০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

আকবর হোসেন:

ডাকাতিয়া নদীর মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা ও চড্ডা গ্রামের অংশে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে পরিকল্পনাবহির্ভূত ভাবে তৈরী হয় স্লুইস গেইট। যা কৃষকদের মাঝে প্রত্যাশার বদলে হতাশাই ডেকে আনে।শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এই গেইট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু খালের পাড় নিচু হওয়ার কারনে পানি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। আবার পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকের কথা চিন্তা করে বাঁধ নির্মাণ করে পল্টন বসিয়ে একবছর সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে। পরবর্তীতে সেই পল্টন অপসারণ করা হয়। কিন্তু বাঁধ অপসারন করা হয় নাই। বর্তমানে বাঁধের কারনে খালটিতে পানি আসতে বাধাগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত জোয়ার না হলে খালটিতে পানি প্রবেশ করে না। বর্তমানে হাওরা থেকে শুরু করে বাঁইশগাও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কৃষক পানির অভাবে চাষাবাদ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন। স্থানীয় প্রসাশনের কাছে জোরালো আবেদন উক্ত জায়গাটি পরিদর্শন পূর্বক স্লুইস গেইট সংলগ্ন বাঁধটি অপসারন পূর্বক খালটিতে পানি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকের চাষাবাদে সহায়তা করা। তাছাড়া খালটিও ফিরে পাবে তার চিরচেনা রুপ। এদিকে কোটি টাকার হাওরা ব্রিজ টি কোন কাজে না আশায় মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মহোদয়ের আন্তরিকতায় ব্রিজটিকে কাজে লাগানোর জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এই হাওরা ব্রিজটিও তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন হোসেন জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি জানিনা। তবে আগামীকাল দেখতে যাবো। কৃষকরা যেভাবে উপকৃত হবে সেটাই করবো। বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বিএসসি জানান, এই স্লইস গেইট টি আমাদের জন্য অভিশাপ। কারণ এটি কোন কাজেই আসছে না। এটি থাকার কারণে পানি চলাচল করতে পারেনা। ফলে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও বাঁধটির বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবো। আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।