নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ঐতিহ্যবাহী লালমাই সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে শনিবার অধ্যক্ষের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে লালমাই সরকারি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তারকে অব্যাহতি না দেয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে বাকবিতন্ডতার এক পর্যায়ে অপর পক্ষের শিক্ষক মামুন আহত হয়। এদিকে আন্দোলনের কারণে ক্লাস করতে না পারায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলেজে ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীরা। কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালনকারী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোলেমান চৌধুরী,সহকারী অধ্যাপক শাহজাহান মজুমদার,আইসিটি প্রভাষক বদরুল আলম মিলন, প্রভাষক আয়শা বেগম ও ইন্সট্রাক্টর জহিরুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার দীর্ঘদিন দিন ধরে সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচারণ করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ভর্তি ফরম পূরণ, রেজিঃকার্ড ও প্রবেশপত্র ডাউনলোড সহ প্রিন্টিং খরচ, যার অনুকুলে কোনপ্রকার পাকা ভাউচার প্রদর্শিত হয় নাই। এই সমস্ত ব্যয় বিধি বহিভূত ও সন্দেহজনক। যে কোন ব্যায়ের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা বা তার অতিরিক্ত হলে রাজস্ব খরচ বাবদ রাজস্ব টিকেট ব্যয় করতে হয় কিন্ত এই ক্ষেত্রে এর কোন প্রকার অস্থিত্ব খোঁজে পাওয়া যায় নাই। কলেজের নিজস্ব কোন পরিবহন নাই কিন্ত যাতায়াত ব্যয় হিসাব অকটেন ক্রয়ের ভাউচার দেওয়া হয়েছে। যা বিধি সম্মত নয়। ১৩/০৩/২০১৯ তারিখের ভাউচার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, একই খাতে একটি পাকা ও একটি কাঁচা ভাউচার সম্পৃক্ত করা হয়েছে যাহা অবৈধ ব্যয় বলে বিবেচিত। পরবর্তিতে ২৫/১০/২০১৯ তারিখের নগদ ফেরত দিয়ে উক্ত হিসারটি সমন্বয় করা হয়েছে। ৩১/০৩/২০১৯ইং তারিখে প্রদত্ত ও হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। যার ব্যয়ের তারিখ এপ্রিল ২০১৯ইং হইতে ২৭ মে ২০১৯ইং তারিখের ভাউচার সংযুক্ত হয়েছে। যাহা হিসাব বহির্ভূত ব্যয় ও সন্ধেহের অবতারণা করেছে। ব্যায়কে লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছিত থাকা অবস্থয় প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন প্রকার লেনদেন, প্রতিষ্ঠান ফান্ড দ্বারা সংগঠিত না হয়ে প্রতিনিয়তিই অধ্যক্ষ কর্তৃক ব্যক্তিগত ঋনের মাধ্যমে আদান-প্রদান সংগঠিত হয়েছে। যা প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবের নিয়ম বহির্ভূত।কলেজ ক্যাশ ও যাবতীয় খরচের ভাউচার কলেজ হিসাব রক্ষকের কাছে থকার কথা কিন্ত এইক্ষেত্রে কলেজের যাবতীয় ক্যাশ ও ভাউচার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে থাকে শুধুমাত্র ভাউচার ক্যাশবইয়ে এন্টি করার সময় হিসাব রক্ষকের কাছে আছে যা হিসাব আইনের একটি গুরুতর অপরাধ এবং সন্দেহজনক।সম্মান বিভাগের, সেমিনার ফি, টেষ্টুমুনিয়াল ও সাটিফিকেট, ইনকোর্স পরীক্ষার ফি সংক্রন্ত আয় ব্যয়ের কোন অস্তিত্ব মূখ্য হিসাব খাতায় দেখা নাই। ইহা নিয়ম বহিভূত যাহা কলেজের প্রকৃত হিসাবকে বাধাগ্রস্থ্য করেছে। কলেজে কেন্দ্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হিসাবটি অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমাই সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোন প্রকার দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।