০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ডা. ফেরদৌস

  • তারিখ : ০১:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০
  • / 354

করোনা বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সেবা দিতে বাংলাদেশে এসেই হেনস্তার মুখে পড়েছেন নিউইয়র্কের খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার। রবিবার বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের চার্টার্ড ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে এই প্রতিবেদককে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানিয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। এয়ারপোর্ট থেকে তিনি একটি ছবিও পাঠিয়েছেন। যদিও তার করোনা নেই এই মর্মে নিউইয়র্কের অন্য একজন চিকিৎসকের সনদ তার কাছে রয়েছে।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, বুক ভরা আশা নিয়ে এসেছিলাম মা তোমার পাশে থাকবো বলে। মনে হয় এয়ারপোর্ট থেকেই অজানা উদ্দেশ্যে সব শেষ করে দিলো ওরা।
এদিকে ডা. ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশে আসছেন- এমন খবর প্রচারের পর থেকেই একদল লোক ফেসবুক ও অন্যান্য কিছু মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ ডা. ফেরদৌস খন্দকার খুনি মোশতাকে ভাতিজা এবং খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই। বাংলাদেশে তার যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এয়ারপোর্ট থেকেই এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের ফেসবুকে তার জবাব দিয়েছেন তিনি। নিচে হুবুহু সেই জবাব তুলে দেয়া হলো:

প্রিয় বাংলাদেশ। দেশে এসেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ে সবার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। তার জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও আমি পিছপা হইনি। যখন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি দেশে এসেছি, তখন একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই। অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক। আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি সনামধন্য জেলা। কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোনো সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন।

শেয়ার করুন

অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ডা. ফেরদৌস

তারিখ : ০১:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০

করোনা বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সেবা দিতে বাংলাদেশে এসেই হেনস্তার মুখে পড়েছেন নিউইয়র্কের খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার। রবিবার বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের চার্টার্ড ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে এই প্রতিবেদককে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানিয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। এয়ারপোর্ট থেকে তিনি একটি ছবিও পাঠিয়েছেন। যদিও তার করোনা নেই এই মর্মে নিউইয়র্কের অন্য একজন চিকিৎসকের সনদ তার কাছে রয়েছে।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, বুক ভরা আশা নিয়ে এসেছিলাম মা তোমার পাশে থাকবো বলে। মনে হয় এয়ারপোর্ট থেকেই অজানা উদ্দেশ্যে সব শেষ করে দিলো ওরা।
এদিকে ডা. ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশে আসছেন- এমন খবর প্রচারের পর থেকেই একদল লোক ফেসবুক ও অন্যান্য কিছু মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ ডা. ফেরদৌস খন্দকার খুনি মোশতাকে ভাতিজা এবং খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই। বাংলাদেশে তার যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এয়ারপোর্ট থেকেই এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের ফেসবুকে তার জবাব দিয়েছেন তিনি। নিচে হুবুহু সেই জবাব তুলে দেয়া হলো:

প্রিয় বাংলাদেশ। দেশে এসেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ে সবার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। তার জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও আমি পিছপা হইনি। যখন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি দেশে এসেছি, তখন একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই। অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক। আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি সনামধন্য জেলা। কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোনো সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন।