অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘ ১২ বছর পরে এক মঞ্চে উঠলেন দেশের দুই জনপ্রিয় ও বিতর্কিত ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও মাওলানা তারেক মনোয়ার।
এ সময় দুজনেই আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। আর তাদের এই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের দৃশ্য দেখল লাখো লাখো মুসল্লি।
গত বুধবার এ ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সদর থানাধীন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এক মাহফিলে। যে মাহফিলে বর্তমান সময়ের এই দুই বক্তা অংশ নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে মাহফিলের ওই ঘটনার দৃশ্যটুকু ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি অনেককেই শেয়ার করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, আজহারী ও তারেক মনোয়ার মাহফিলে আসবেন জেলে শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করেই লাখো লাখো মুসল্লির ঢল নামে। আগের দিন থেকেই দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ এসে মাহফিল স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
মাহফিলের আয়োজক সংগঠনটির দাবি, আজহারীর এই তাফসির মাহফিলটিতে ৫ লাখের বেশি মুসল্লির জমায়েত হয়েছেন।
এদিকে ওই মাহফিলে আজহারীকে জড়িয়ে ধরে তারেক মনোয়ারের কান্নার দৃশ্যটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, মিজানুর রহমান আজহারী যখন বক্তব্য দিচ্ছেন হঠাৎই মঞ্চে উঠে আসেন তারেক মনোয়ার। তিনি আজহারীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেন। এ সময় আজহারী দাঁড়িয়ে পড়েন। তারেক মনোয়ার তার কপালে চুমু দেন।
এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত মুসল্লিরাও আপ্লুত হয়ে ওঠেন। তাদের অনেকেই দাঁড়িয়ে যান। পরে আয়োজক সংগঠন থেকে মাইকে মুসল্লিদের বসে যেতে ও নীরব থাকতে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ইসলাম বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিসরের আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে ফেরা এ মাওলানা।
তবে তাকে নিয়ে নানা বিতর্কও চলছে। বিভিন্ন মাহফিলে যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জামায়েত ইসলামী দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর প্রশংসায় বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া ওয়াজে বিভিন্ন শব্দ ও ভাষার ব্যবহার নিয়েও তার সমালোচনা করা হয়েছে।
এসব কারণ দেখিয়ে কুমিল্লা, ফেনী ও চাঁদপুরে মাহফিল করতে দেয়া হয়নি আজহারীকে।
এদিকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আরেক বির্তকিত বক্তা বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের নেতা মাওলানা তারেক মনোয়ার।
তার ওয়াজ ও বয়ান ইউটিউব ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেয়ার নিদের্শনাও তামিল করেছে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা)।