০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

উপজেলা পরিষদের সব কাজে চেয়ারম্যানের অনুমোদন নিতে হবে ইউএনওদের

  • তারিখ : ১১:১৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 295

উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়ে ইতোপূর্বে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল, সেটি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ইউএনওদের অনুমোদন নিতে হবে- এটিসহ এ সংক্রান্ত বিধি ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ জন্য আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনওদের প্রতি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতের রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ আইন ও এর অধীনে করা বিধিমালায় বলা আছে- উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে ইউএনও’রা (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউএনওরা সেটা না করে নিজেরাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেন।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। কিন্তু ইউএনও’রা সেটা মানেন না, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় যাতে না ঘটে, সেজন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি।

শেয়ার করুন

উপজেলা পরিষদের সব কাজে চেয়ারম্যানের অনুমোদন নিতে হবে ইউএনওদের

তারিখ : ১১:১৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়ে ইতোপূর্বে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল, সেটি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ইউএনওদের অনুমোদন নিতে হবে- এটিসহ এ সংক্রান্ত বিধি ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ জন্য আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনওদের প্রতি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতের রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ আইন ও এর অধীনে করা বিধিমালায় বলা আছে- উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে ইউএনও’রা (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউএনওরা সেটা না করে নিজেরাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেন।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। কিন্তু ইউএনও’রা সেটা মানেন না, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় যাতে না ঘটে, সেজন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি।