করোনাভাইরাসের পর থেকেই হাসপাতালে নিঃসঙ্গ দিন কাটছে রোগীদের। সংক্রমণের ভয়ে বেলজিয়ামের হাসপাতালগুলোতে স্বজনদের প্রবেশাধিকারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে বেলজিয়ান প্রতিষ্ঠান গ্রুপ এফ এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। ক্রেনের মাধ্যমে রোগী ও তার স্বজনদের কিছু সময়ের জন্য কাছাকাছি আনার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। নিঃসঙ্গ জীবনে দীর্ঘদিন পর প্রিয় মানুষের দেখা পেয়ে আবেগাপ্লুত রোগীরাও।
গ্রুপ এফ’র অপারেশন ম্যানেজার ট্রিসটান ভ্যান ডেন বলেন, একদিন সকালে দেখলাম, নার্সিং হোমের সামনে দাঁড়িয়ে এক ভদ্রলোক চিৎকার করে মায়ের সাথে কথা বলছেন। তার মা ছিলেন তৃতীয় তলায়। তখনই মাথায় এলো এই আইডিয়া। ক্রেনগুলো ডিপোতে ফেলে না রেখে এর সদ্ব্যবহার করছি। কিছু মানুষকে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করছি।
বহুদিন পর প্রিয় মুখের দেখা পেয়ে প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছেন স্বজনরা। আবেগ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে স্বজনদের মাঝে দেখা করতে পেরে উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তারা।
লা ক্যামব্রে নার্সিং হোমের পরিচালক থিবাউট শেভরিয়ের বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার দারুণ একটি সুযোগ। শিডিউল মেলাতে একটু ঝামেলা আছে। তবে রোগীদের আনন্দ দেখে খুব ভালো লাগছে।
মহামারির প্রকোপে বন্ধ ব্যবসা বাণিজ্য। প্রতিষ্ঠানের লোকসান প্রায় ৭৫ শতাংশ। এরপরও কেবল মানবতার ডাকে বেলজিয়ামের বিভিন্ন শহরে ক্রেন সরবরাহ করছে গ্রুপ এফ।