কুবি ছাত্রদলের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ণের চেষ্টা,অনিয়মিতদের নিয়ে কমিটি ঘোষণার গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হবে এমন গুঞ্জন চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। তবে পূর্ণাঙ্গ নয় এবার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে। প্রথম কমিটি গঠন হওয়ার পর ৫ বছর কেটে গেলেও নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। প্রথম কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহসভাপতি সহ সিনিয়র নেতাদের ছাত্রত্ব না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের সরাসরি যোগাযোগ নেই। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘসময় স্থবির হয়ে পড়া ছাত্রদলকে যারা ক্যাম্পাসে আগলে রেখেছিল সেই সব নেতা-কর্মীদের সাম্ভাব্য আহ্বাক কমিটিতে স্থান না পাওযার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর এই সব অশিক্ষার্থী নেতাদের ভিড়ে দলের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ণের সম্ভাবনায়, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে তৈরী হয়েছে তীব্র অসন্তস ও হতাশা। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ণকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা স্থবির হয়ে পড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে দেখছে।

দলের ত্যাগী, নির্যাতিত নেতারা বলছেন, দলের জন্য প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে নানা ত্যাগ স্বীকার করেও নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী দলে সম্মান ও মর্যাদা পাননি তারা। বরং সাম্ভব্য কমিটিতে সর্বোচ্চ পদে যাদের স্থান দেওয়ার চেষ্ঠা করা হচ্ছে তাদের ২০১৩ পর দেখা যায় নি ক্যাম্পাসে রাজনীতিতে।

সুবিধাভোগী, রাজনীতীতে অনিয়মিত, ওয়ান মেন শো ও অশিক্ষার্থী নেতাদের ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা নীতিগত জায়গা থেকে সরে গিয়ে তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নতুন কমিটিতে অবমূল্যায়নের চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। শুধু চেষ্টাতেই ক্ষান্ত হন নি,উনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলকে ধ্বংস করতে একজন অপরিপক্ক কথিত নেতার হাতে নেতৃত্ব তোলে দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও বিভিন্ন ভাবে চাপ দিচ্ছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এতে করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান শুভ ক্ষোভ নিয়ে বলেন,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকে ধ্বংস করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতাদের এমন ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া খুবই কষ্টকর। দলের সকল কর্মসূচীকে সফল করার জন্য আমি সবসময় সকলকে নিয়ে উপস্থিত থেকেছি, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সবসময় সকলকে নিয়ে এক থেকেছি। কিন্তু উনারা সাম্ভব্য নতুন কমিটিতে ত্যাগী, মামলা-হামলা শিকার, জেল-জুলুম বরণকারী এবং দলের পরিক্ষিত নেতাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ণ না করে সুবিধাবাদীদের পদ, সুবিধা দেয়ার চেষ্ঠা চালাচ্ছে।

বিষয়টি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি করেছে এবং দলের আত্মসম্মানে আঘাত হিসেবে দেখছি। উনারা দলের এই সময়েও ত্যাগী, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে না আনতে চাওয়া দলের প্রতি ষড়যন্ত্র ছাড়া অন্য কিছুই না। তাই এখনি সময়, কেন্দ্রীয় অভিভাবকদের সঠিক তথ্য নিয়ে চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে ছাত্রদলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের আসন্ন কমিটিতে সঠিক মূল্যায়ণ করে যথাস্থান দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রদলের ঘাটি হিসেবে গড়ে তুলে সরকার বিরোধী আন্দোলন বেগবান করার।

তৃণমূল ছাত্রদলের একাধিক কর্মী কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে বলেন, যে সময় সবাইকে এক হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন করার সময়, সে সময় ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ণ করা হচ্ছে। এতে করে আন্দোলন করা দূরে থাক ক্যাম্পাসে ছাত্রদল খাতা কলমে অন্তসার শূণ্য একটি রাজনৈতিক দলে পরিনত হবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ জুয়েল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কুমিল্লা বিশ্বদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি কিছু দিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে এবং দলে যারা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ, জুলুম নির্যাতন স্বীকার করেছেন তাদেরই কমিটিতে রাখা হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!