মোঃ জাকির হোসেন :
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রামে বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্ট করা হয়েছে। এই ব্যারিকেডের উদ্দেশ্য গ্রামে নতুন কারো আগমন যেন না ঘটে। পাশাপাশি যানবাহনের চলাচল বন্ধ। এছাড়াও অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষ যেন ঘুরাঘুরি না করতে পারে।
সরেজমিনে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে বাঁশ ও সিমেন্টের তৈরী পিলার দিয়ে গ্রামের রাস্তায় যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছে। পরে ওই বাঁশের বেড়ায় কাগজের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। টাইনবোর্ডে লেখা লকডাউন।
জানতে চাইলে গ্রামের যুবক আরিফ, পলাশ জুয়েল জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। এতে গ্রামের মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ হবে। এছাড়াও যান চলাচল
বন্ধ হবে। আমরা সচেতন হলেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সম্ভব।
এদিকে লকডাউনের বিষয়টি নিয়ে আমড়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক জানান, আমরা করেনা থেকে মুক্ত থাকতে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকেই সচেতন হচ্ছে। এদিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মোকাম, জলম কোরপাই পরী হল পাড়া সাদী লালবাগ গিয়ে দেখা যায় গ্রামে প্রবেশের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়া। ওই এলাকার হাসান সাদী, মোহাম্মদ ইয়াসিনরা মিলে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এমন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়াও বরুড়া উপজেলার মন্ডুক গ্রামে দেখা যায় এই চিত্র।
এদিকে জেলার নাঙ্গলকোর্টেও স্থানীয়রা গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়েছে। তারা জানায় গ্রামবাসী সবাই মিলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাঙ্গলকোর্টের মক্রবপুর ইউনিয়নের বান্নঘর শাহপুর রায়কোট ইউনিয়নের ছুপুয়া দাসনাইপাড়া ও কুকুরীখিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এলাকার তরুন যুবকরা মিলে গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে বেরিকেড দিয়েছে। যাতে করে গ্রামে অবাধ চলাচল বন্ধ হয়। আর তাদের বিশ্বাস এভাবেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব।