অনলাইন ডেস্ক ।।
কুমিল্লার লাকসামে সন্ত্রাসী হামলায় আহত পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতেখার অনিক (২৮) মারা গেছেন। গত ২১ জুন লাকসাম পৌর শহরের বাইপাস এলাকায় হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে টানা আট দিন হাসপাতালে থাকার পর বুধবার (২৮ জুন) রাতে মারা যান তিনি।
অনিক রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এছাড়াও ওই হামলায় গুরুতর আহত আরো দুই জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ও অনিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন।
তার অভিযোগ ২১ জুন রাতে ছাত্রদল-যুবদলের কতিপয় নেতা-কর্মী অনিকসহ অন্যদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় মারাত্মক আহত অনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় নিহত অনিকের পিতা মনির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রকিকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ নাম্বার আসামী মশিউর রহমান সেলিমকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার সেলিম স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং এই মামলার ১ নাম্বার আসামী রকির পিতা।
লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনূছ ভূঁঞা জানান, গত ২১ জুন রাতে লাকসাম পৌরশহরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের ওপর ছাত্রদলের কতিপয় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় তারা ছাত্রলীগ নেতা অনিক, সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বুকে ও পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে লাকসাম এবং পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অনিকের অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানে বুধবার রাতে মারা যায়। বাকি দুজন কুমিল্লা মেডিক্যালে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপর হামলার পর নিহত অনিকের পিতা মনির হোসেন ৬ জনকে অভিযুক্ত করে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ নাম্বার আসামী মশিউর রহমান সেলিমকে গ্রেফতার করেছে। হামলায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।