কেতলি হাতে ভোটারদের ডাকছেন আতিকুল- চা হবে, চা, চা…

নেমেছেন নির্বাচনি প্রচারণায়। সারাদিন বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে কিছুটা ক্লান্ত কর্মী-সমর্থকরা, ক্লান্ত তিনি নিজেও। রামপুরা এলাকায় তখন অবস্থান তাদের। একটু যেন জিরিয়ে নিচ্ছিলেন সবাই, কথা বলছিলেন নিজেদের মধ্যে, কথা বলছিলেন সাংবাদিকদের সঙ্গেও। কিন্তু যাকে ঘিরে এই নির্বাচনি প্রচারণা, সেই মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম কোথায়?

এদিক-সেদিক তাকিয়ে সবার চক্ষু চড়কগাছ— একহাতে কেতলি, একহাতে চায়ের কাপ— রীতিমতো চায়ের দোকানি বনে গেছেন আতিকুল। চা বানাতে বানাতে নিজেই হাঁক ছাড়ছেন, ‘চা হবে, চা, চা, চা…।’

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে নৌকা প্রতীকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নৌকা প্রতীকে মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণায় এমন দৃশ্যই দেখা গেল।

সারাদিনের নির্বাচনি প্রচারণায় যখন সবাই ক্লান্ত, ঠিক তখনই আতিকুল সবাইকে চাঙ্গা করতেই যেন চায়ের দোকানি হয়ে গেলেন। রীতিমতো চা বানিয়ে খাওয়ালেন দোকানের ক্রেতাদের, মালাই চা বানিয়ে দিলেন নিজের নির্বাচনি প্রচারণা বহরের দুয়েকজন নেতাকর্মীকেও। গুনে গুনে আট কাপ চা এসময় বানিয়েছেন তিনি সবার জন্য।

আগের উপনির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়ে এসে ফের মেয়রপ্রার্থী হওয়া আতিকুল নিজের হাতে চা বানানোয় তার নেতাকর্মীরা খুবই খুশি। তারা বলছেন, মেয়র হলেও তিনি যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেই পছন্দ করেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল। মেয়রপ্রার্থীর হাতে বানানো চা পান করে ভোটাররাও উচ্ছ্বসিত। তাদের অভিমত, কেবল নির্বাচনি প্রচারণার সময় নয়, ভোটে জয় পেলে মেয়রকেও সারাবছরই এভাবে পাশে চান তারা।

আর যার দোকানে বসে ‘দোকানদারি’ করলেন আতিকুল ইসলাম, সেই চা দোকানদার ইয়াসিন বললেন, মেয়র সাহেব নিজে আমার চেয়ারে বসে চা বানিয়ে আমাকে সম্মান দিয়েছেন। তিনিও নিশ্চয় সবার সম্মান পাবেন।

এর আগে, খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। ‘উন্নয়নের মার্কা নৌকা, নৌকা’, ‘৩০ জানুয়ারি শুভ দিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গণসংযোগ এলাকা। সেখান থেকে মাটির মসজিদের সামনে থেকে আবুল হোটেল, রামপুরা, বাড্ডা এলাকার আলাতুন্নেসা মাদরাসা হয়ে মধ্যবাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালান আতিকুল ইসলাম।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!