০২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

ক্লাসে ঢুকে শিক্ষককে মারধর করলেন অভিভাবক

  • তারিখ : ০২:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • / 251

পাবনা প্রতিনিধি :

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে কর্মরত অবস্থায় চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২ এপ্রিল) ঈশ্বরদী পৌর সদরের মশুরিয়াপাড়ার গোলাম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস চলছিল। সহকারী শিক্ষক হামিদুর রহমান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠদান করছিলেন। এ সময় মাসুম হোসেন নামে এক অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসেন। তার সন্তান প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

ওই অভিভাবক উত্তেজিত হয়ে পাঠদান চলারত অবস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ঢুকে পড়েন। ক্লাসে পাঠদানরত শিক্ষক হামিদুর রহমানকে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে তিনি বারান্দায় নিয়ে আসেন। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও চড়-থাপ্পড় মারেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিষয়টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফাকে জানান। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

শিক্ষক হামিদুর রহমান বলেন, তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন ২য় শ্রেণিতে। আর প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের বাবা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলেন। মাসুম হোসেন নামের ওই অভিভাবকের ছেলেকে তিনি মারধরও করেননি। তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েসকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত অভিভাবক মাসুম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও করে তাকে পাওয়া যায়নি।

পাবনার শিক্ষক নেতা ইকরামুল কবীর মামুন জানান, একজন শিক্ষককে স্কুলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রধান শিক্ষক কিংবা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাতে পারতেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আসাদুজ্জামান রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে জানান, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক হামিদুর রহমান একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে ওই অভিযুক্ত অভিভাবকের স্ত্রী তার সন্তানকে ক্লাসে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দিয়েছেন।

ওসি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

ক্লাসে ঢুকে শিক্ষককে মারধর করলেন অভিভাবক

তারিখ : ০২:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

পাবনা প্রতিনিধি :

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে কর্মরত অবস্থায় চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২ এপ্রিল) ঈশ্বরদী পৌর সদরের মশুরিয়াপাড়ার গোলাম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস চলছিল। সহকারী শিক্ষক হামিদুর রহমান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠদান করছিলেন। এ সময় মাসুম হোসেন নামে এক অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসেন। তার সন্তান প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

ওই অভিভাবক উত্তেজিত হয়ে পাঠদান চলারত অবস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ঢুকে পড়েন। ক্লাসে পাঠদানরত শিক্ষক হামিদুর রহমানকে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে তিনি বারান্দায় নিয়ে আসেন। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও চড়-থাপ্পড় মারেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিষয়টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফাকে জানান। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

শিক্ষক হামিদুর রহমান বলেন, তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন ২য় শ্রেণিতে। আর প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের বাবা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলেন। মাসুম হোসেন নামের ওই অভিভাবকের ছেলেকে তিনি মারধরও করেননি। তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েসকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত অভিভাবক মাসুম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও করে তাকে পাওয়া যায়নি।

পাবনার শিক্ষক নেতা ইকরামুল কবীর মামুন জানান, একজন শিক্ষককে স্কুলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রধান শিক্ষক কিংবা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাতে পারতেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আসাদুজ্জামান রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে জানান, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক হামিদুর রহমান একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে ওই অভিযুক্ত অভিভাবকের স্ত্রী তার সন্তানকে ক্লাসে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দিয়েছেন।

ওসি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।