০৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

খালেদা জিয়ার জন্য ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত

  • তারিখ : ১০:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
  • / 1178

দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন যে কোনো মুহূর্তে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ইতিমধ্যেই তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত করা হয়েছে।

মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপরই দফায় দফায় বৈঠক করেন দলের সিনিয়র নেতা ও পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান কথা বলেন।

এ দিকে খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন- এমন খবর পাওয়ার পর গুলশানে অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসা (ফিরোজা) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করা হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে কোথাও নেয়া হবে সে ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় বসেন। কথা বলেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করার পক্ষে মত দেন। তবে কেউ কেউ মুক্তি পাওয়ার পর তাকে সরাসরি হাসপাতালে নেয়ার পক্ষে মত দেন। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইডেটে ভর্তির কথা বলেন তারা। তবে এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার মতাতমকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র জানায়, মুক্তি পাওয়ার পর আত্বীয়-স্বজনরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তার মতামত জানবেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে।

তবে বিকালে মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর জানার পরই খালেদা জিয়ার বাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শুরু করে। বাড়ানো হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্য সংখ্যাও।

মুক্তির খবর পাওয়ার পর পরিবার ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা করণীয় চূড়ান্তে বৈঠকে বসেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হন তারেক রহমান। মুক্তির পর কোথায় নেয়া হবে তা নিয়ে নেতারা মতামত দেন। তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি পরিবারের সদস্য ও চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তারা।

বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে নেতাকর্মীরা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেতাকর্মীদের হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। দুটি বাদে সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন।

সূত্র : যুগান্তর

শেয়ার করুন

খালেদা জিয়ার জন্য ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত

তারিখ : ১০:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন যে কোনো মুহূর্তে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ইতিমধ্যেই তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত করা হয়েছে।

মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপরই দফায় দফায় বৈঠক করেন দলের সিনিয়র নেতা ও পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান কথা বলেন।

এ দিকে খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন- এমন খবর পাওয়ার পর গুলশানে অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসা (ফিরোজা) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করা হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে কোথাও নেয়া হবে সে ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় বসেন। কথা বলেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করার পক্ষে মত দেন। তবে কেউ কেউ মুক্তি পাওয়ার পর তাকে সরাসরি হাসপাতালে নেয়ার পক্ষে মত দেন। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইডেটে ভর্তির কথা বলেন তারা। তবে এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার মতাতমকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র জানায়, মুক্তি পাওয়ার পর আত্বীয়-স্বজনরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তার মতামত জানবেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে।

তবে বিকালে মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর জানার পরই খালেদা জিয়ার বাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শুরু করে। বাড়ানো হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্য সংখ্যাও।

মুক্তির খবর পাওয়ার পর পরিবার ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা করণীয় চূড়ান্তে বৈঠকে বসেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হন তারেক রহমান। মুক্তির পর কোথায় নেয়া হবে তা নিয়ে নেতারা মতামত দেন। তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি পরিবারের সদস্য ও চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তারা।

বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে নেতাকর্মীরা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেতাকর্মীদের হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। দুটি বাদে সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন।

সূত্র : যুগান্তর