০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

দেবর-ভাবির দ্বন্দ্বে কেউ বিরক্ত, কেউবা সতর্ক

  • তারিখ : ১১:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
  • / 489

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :

আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের কাউন্সিল ডেকেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। দেবর-ভাবির এই দ্বন্দ্বে জাপার দুর্গ বলে খ্যাত রংপুরেও কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রওশন এরশাদের এমন কর্মকাণ্ডে রংপুরের অনেক জাপা নেতা-কর্মী বিরক্ত হচ্ছেন। আবার কেউ সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এক প্রকার ঝিমিয়ে রয়েছেন। জাতীয় পার্টিতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর রংপুর অঞ্চলে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারেনি জাতীয় পার্টি- এমন দাবি অনেকের। নেতৃত্ব নিয়ে নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে তাদের মাঝে এক ধরনের অনীহা ভাব রয়েছে। দেবর-ভাবীর দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা-কর্মী বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই নিয়ে বিচ্ছৃঙ্খলা হোক এমনটা কারও কাম্য নয়। রংপুরে রওশন এরশাদের পক্ষে কোনো নেতা-কর্মী নেই। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

এদিকে রংপুরে রওশনপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন জাপার সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এতে রংপুরে রওশনপন্থিরা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েন। তার পরও মসিউর রহমান রাঙ্গার কিছু সমর্থক এখনো রওশন এরশাদের ভক্ত হিসেবে রয়েছেন। তাদের মতে, রওশন এরশাদ যা করেছেন তা সঠিক সিদ্ধান্ত। সময় এলে রংপুরে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দল সংগঠিত করা হবে।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, রওশন এরশাদ নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা এবং কাউন্সিল ডাকা জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে সংগঠিত রয়েছি। উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব করা হয় কাজী মামুনুর রশীদকে।

শেয়ার করুন

দেবর-ভাবির দ্বন্দ্বে কেউ বিরক্ত, কেউবা সতর্ক

তারিখ : ১১:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :

আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের কাউন্সিল ডেকেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। দেবর-ভাবির এই দ্বন্দ্বে জাপার দুর্গ বলে খ্যাত রংপুরেও কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রওশন এরশাদের এমন কর্মকাণ্ডে রংপুরের অনেক জাপা নেতা-কর্মী বিরক্ত হচ্ছেন। আবার কেউ সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এক প্রকার ঝিমিয়ে রয়েছেন। জাতীয় পার্টিতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর রংপুর অঞ্চলে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারেনি জাতীয় পার্টি- এমন দাবি অনেকের। নেতৃত্ব নিয়ে নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে তাদের মাঝে এক ধরনের অনীহা ভাব রয়েছে। দেবর-ভাবীর দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা-কর্মী বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই নিয়ে বিচ্ছৃঙ্খলা হোক এমনটা কারও কাম্য নয়। রংপুরে রওশন এরশাদের পক্ষে কোনো নেতা-কর্মী নেই। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

এদিকে রংপুরে রওশনপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন জাপার সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এতে রংপুরে রওশনপন্থিরা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েন। তার পরও মসিউর রহমান রাঙ্গার কিছু সমর্থক এখনো রওশন এরশাদের ভক্ত হিসেবে রয়েছেন। তাদের মতে, রওশন এরশাদ যা করেছেন তা সঠিক সিদ্ধান্ত। সময় এলে রংপুরে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দল সংগঠিত করা হবে।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, রওশন এরশাদ নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা এবং কাউন্সিল ডাকা জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে সংগঠিত রয়েছি। উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব করা হয় কাজী মামুনুর রশীদকে।