নোয়াখালীতে মানা হচ্ছে না লকডাউন, জনসমাগমে ঈদের আমেজ

নোয়াখালী জেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেও জেলার সোনাইমুড়িতে ঘরে থাকার নির্দেশ থাকলেও মানছে না কেউ। উপজেলার হাটবাজারগুলোর জনসমাগমের দৃশ্য দেখলে মনে হয় যে ঈদের আমেজ। সচেতন মহলের প্রশ্ন এ কেমন লকডাউন?

গত ১১ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক নোয়াখালীকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলে প্রথম ২/১ দিন মানলেও এখন আর মানছে না উপজেলার ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ। জনসচেতনতার অভাবে লকডাউন যেন কাগজে কলমেই রয়ে গেছে।

সোমবার সকল ১১ টার দিকে পৌর শহরের রেলগেট এলাকা থেকে সবজি ও মাছ দোকান হাইস্কুল মাঠে সরিয়ে নিলেও মাংস, মোরগ ও ফলের দোকান এখানে থেকে যায়। অথচ সরকারি নির্দেশ মোতাবেক এসব দোকানও সেখানে যাওয়ার কথা।

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ক্রেতা সাধারণ ভিড় করছে এসব দোকানে। এমন দৃশ্য দেখে মনে হয় দেশে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) এর মতো মহামারি জনমনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি, দেখলে মনে হয় ঈদের আমেজ।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জয়াগ, নদোনা, চাষিরহাট, বারগাঁও, অম্বরনগর, নাটেশ্বর, বজরা, সোনাপুর, দেওটি, আমিশাপাড়া বাজারগুলোর একই চিত্র।

ইতিপূর্বে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সচেনতামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তা কাজে আসছে না।

উপজেলার রথী গ্রাম থেকে কামরুজ্জামান বলেন, বাড়ি বসে থেকে বন্দী জীবন মনে হয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও ঘোরাফেরার জন্য বাজারে আসলাম।

সচেতন মহল মনে করেন সোনাইমুড়ি বাজারের রেলগেট এলাকা থেকে মাংস, মোরগ ও ফলের দোকান সরিয়ে নিলে এ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়াও ওষুধ, মুদি, কাঁচাবাজার দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও হোটেল-রেস্টুরেন্ট ছাড়া বাকী প্রায় সব দোকানই খোলা রয়েছে।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি পৌর কাউন্সিলর লোকমান হোসেন জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চর্তুমুখী রেলগেট এলাকায় ফুটপাতে যেসব দোকান রয়েছে এগুলো স্কুল মাঠে সরিয়ে নিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে বলে আশা করি।

মাঝে মাঝে পুলিশি টহল দেখে লোকজন সটকে পড়লেও পুলিশ চলে গেছে আবার পূর্বে চিত্র, এ যেন চোর পুলিশের খেলা। এ বিষয়ে বাজার কমিটি সেক্রেটারি খলিলুর রহমান জানান, পুলিশ আসলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় পুলিশ চলে গেলে পূর্বের চিত্রই দেখা যায়। কোনোভাবেই সচেতন হচ্ছে না মানুষ, মানছে না লকডাউন।

সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুস সামাদ জানান, উপজেলার সব বাজারে জনসচেতনতামূলক লিফলেট, মাইকিংসহ নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। লকডাউন না মানা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল জানান, আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। উপজেলার যে কোনো বাজারে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারী যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!