ইসলাম ডেস্ক :
আল্লাহ নৈকট্য অর্জনের অনন্য ইবাদত কোরবানি। ছয় ধরনের পশু দিয়ে এ কোরবানি করা যায়। তাহলো- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। তবে এ পশুগুলো সুনির্দিষ্ট কিছু দোষ-খুঁত ও সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অবশ্যই সুস্থ, সুন্দর ও পষ্ট-পুষ্ট হতে হবে কোরবানির পশু। যেসব সমস্যা থাকলে কোরবানি হবে না সেগুলো কী?
কোরবানি আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাদের আরো প্রিয় হওয়ার ইবাদত। এটি সামর্থবান প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য আবশ্যক কর্তব্য। হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কিছু শারীরিক দোষ-খুঁত ও সমস্যা থাকলে কোরবানি হবে না। তাহলো-
১. চোখে না দেখলে
হজরত আবু যাহ্হাক উবায়দ ইবনে ফায়রূজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম, যে সব পশুর কোরবানি করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন তা আমার কাছে বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (খুতবা দিতে) দাঁড়ালেন আর আমার হাত তাঁর হাত অপেক্ষা ছোট। তিনি বললেন, চার প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়-
> চোখে দেখে না এমন পশু, যার চোখে না দেখাটা সুস্পষ্ট;
> রোগা পশু,যার মধ্যে রোগ সুস্পষ্ট;
> খোঁড়া বা ল্যাংড়া পশু, যার খোঁড়া বা ল্যাংড়া হওয়া সুস্পষ্ট;
> দুর্বল পশু, যার হাঁড়ে মজ্জা নেই। অর্থাৎ চলা-ফেরা করার অযোগ্য।
আমি বললাম,‘আমি শিং ও দাঁতে ত্রুটি থাকাও পছন্দ করি না। তিনি বললেন,তুমি যা অপছন্দ কর, তা ত্যাগ কর; কিন্তু অন্য লোকের জন্য তা হারাম করো না।’ (নাসাঈ)
২. খোঁড়া/ল্যাংড়া পশু
হজরত আবু যাহ্হাক উবায়দ ইবনে ফায়রূজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম, যে সব পশুর কোরবানি করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন তা আমার কাছে বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (খুতবা দিতে) দাঁড়ালেন আর আমার হাত তাঁর হাত অপেক্ষা ছোট। তিনি বললেন, চার প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়-
> চোখে দেখে না এমন পশু, যার চোখে না দেখাটা সুস্পষ্ট;
> রোগা পশু,যার মধ্যে রোগ সুস্পষ্ট;
> খোঁড়া বা ল্যাংড়া পশু, যার খোঁড়া বা ল্যাংড়া হওয়া সুস্পষ্ট;
> দুর্বল পশু, যার হাঁড়ে মজ্জা নেই। অর্থাৎ চলা-ফেরা করার অযোগ্য।
আমি বললাম,‘আমি শিং ও দাঁতে ত্রুটি থাকাও পছন্দ করি না। তিনি বললেন,তুমি যা অপছন্দ কর, তা ত্যাগ কর; কিন্তু অন্য লোকের জন্য তা হারাম করো না।’ (নাসাঈ)
৩. দুর্বল পশু
হজরত আবু যাহ্হাক উবায়দ ইবনে ফায়রূজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম, যে সব পশুর কোরবানি করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন তা আমার কাছে বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (খুতবা দিতে) দাঁড়ালেন আর আমার হাত তাঁর হাত অপেক্ষা ছোট। তিনি বললেন, চার প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়-
> চোখে দেখে না এমন পশু, যার চোখে না দেখাটা সুস্পষ্ট;
> রোগা পশু,যার মধ্যে রোগ সুস্পষ্ট;
> খোঁড়া বা ল্যাংড়া পশু, যার খোঁড়া বা ল্যাংড়া হওয়া সুস্পষ্ট;
> দুর্বল পশু, যার হাঁড়ে মজ্জা নেই। অর্থাৎ চলা-ফেরা করার অযোগ্য।
আমি বললাম,‘আমি শিং ও দাঁতে ত্রুটি থাকাও পছন্দ করি না। তিনি বললেন,তুমি যা অপছন্দ কর, তা ত্যাগ কর; কিন্তু অন্য লোকের জন্য তা হারাম করো না।’ (নাসাঈ)
মনে রাখতে হবে
১. জংলি পশু দিয়েও কোরবানি করা যাবে না, যার মধ্যে জংলি ভাব রয়ে গেছে। যদিও জংলি পশুর গোশত হালাল; কিন্তু কোরবানির ক্ষেত্রে কোনো জংলি পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়।
২. আবার হরিণ দ্বারাও কোরবানি দেওয়া যাবে না। যদিও হরিণের গোশত হালাল। চাই তা জংলি হোক কিংবা ঘরে লালিত-পালিত হোক।
যেসব পশুর কোরবানি মাকরূহ
এমনকি কোরবানির পশু মানুষ দ্বারা ঘরে লালিত-পালিত হতে হয়। বন-জঙ্গলের হিংস্র গরু-মহিশ, ভেড়া-ছাগল দ্বারা কোরবানি হবে না। এমন কিছু পশু আছে যা কোরবানি হলেও তা হবে মাকরূহ। আবার পশুর এমন কতগুলো শারীরিক দোষ-ত্রুটি আছে যা থাকলে কোরবানি আদায় হবে কিন্তু তা মাকরূহ হবে। এ সব দোষত্রুটিযুক্ত পশু কোরবানি না করাই ভালো। আর তাহলো-
১. পশুর শিং ভাঙ্গা।
২. পশুর কান কাটা।
৩. পশুর লেজ কাটা।
৪. পশুর ওলান কাটা কিংবা লিঙ্গ কাটা ইত্যাদি।
যে পশুতে কোরবানি না করার পরামর্শ
পশুর এমন কিছু শারীরিক দোষ-ত্রুটি আছে; যার ফলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পশুগুলো দিয়ে কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন। তাহলো-
১. মুকাবালা : কানের একদিক কাটা
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আদেশ করেছেন, আমরা যেন কোরবানির পশুর চোখ ও কান উত্তমরূপে দেখে নিই। আর আমরা যেন কানের আগার দিক কাটা, কানের পেছন দিক কাটা, লেজ কাটা এবং কানের গোড়া থেকে কাটা পশু কোরবানি না করি।’ (নাসাঈ)
২. মুদাবারা : কানের মূল থেকে কাটা
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আদেশ করেছেন, আমরা যেন (কোরবানি পশুর) চোখ ও কান ভালোরূপে দেখে নিই। আর আমরা যেন এমন পশু দ্বারা কোরবানি না করি যা কানা, যার কানের একদিক কাটা, যার কানের গোড়া কাটা এবং যার কান ফাঁড়া এবং যার কানে ছিদ্র আছে।’ (নাসাঈ)
৩. খারকা : কানে ছিদ্র
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ পশু কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন যার কানের একদিক কাটা বা গোড়া কাটা বা যার কান কাটা বা যার কানে ছিদ্র আছে এবং যার কান মূল থেকে কাটা।’ (নাসাঈ)
৪. শারকা : কান ফাটা
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে পশুর কানের একদিক কাটা বা কানের গোড়ার দিক থেকে কাটা অথবা যার কান ফাটা বা যার কানে ছিদ্র আছে কিংবা যে পশু কানা, তা দ্বারা কোরবানি করা যাবে না।’ (নাসাঈ)
৫. আযবা : শিং ভাঙ্গা
হজরত জুরাই ইবনে কুলায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিং ভাঙ্গা পশু কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর আমি তা সাঈদ ইব্ন মুসায়্যিব রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, ‘শিংয়ের অর্ধেক বা তার বেশি ভাঙ্গা হলে সেই পশু কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন।’ (নাসাঈ)
কোরবানির আগে পশু দেখার পরামর্শ
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে পশুর চোখ ও কান ভালোভাবে দেখে নেওয়ার কথা বলেছেন। যাতে চোখ ও কানে কোনো ধরনের খুঁত না থাকে। এ সম্পর্কে হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় একাধিক হাদিস এসেছে। তাহলো-
হজরত হুজাইয়্যা ইবনে আদি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এ মর্মে আদেশ করেছেন, আমরা যেন কোরবানির পশুর চোখ ও কান উত্তমরূপে দেখে নিই।’ (নাসাঈ)
কোরবানি করার ক্ষেত্রে মুমিন মুসলমানের উচিত, ইসলামি শরিয়তের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পশু কোরবানি করা। যেসব পশুতে কোরবানি হবে না বা হলেও মাকরূহ হবে; সেসব পশু কোরবানি করা থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানি আদায়ের ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ খেয়াল রেখে কোরবানির পুশু নির্বাচন বা কেনার তাওফিক দান করুন। একনিষ্ঠতার সঙ্গে গ্রহণযোগ্য কোরবানি আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।