০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

বাবা ডাক শুনতে নুরুলের বাঁচার আকুতি টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে আছে কিডনির চিকিৎসা

  • তারিখ : ১২:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 528

আরিফ গাজী :

বড় ছেলে আরাফাত হোসেনের ১০ বছর বয়স আর ছোট মেয়ে নুসরাত আক্তরের বয়স মাত্র ৮। এরই মধ্যে দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বাবা নুরুল আলমের। যেমনী ভাবে বাবা ডেকে মন ভরেনি ছেলে আরাফাত ও মেয়ে নুসরাতের, ঠিক তেমনি ভাবে বাবা ডাক শুনেও যেন মন ভরছে না নুরুলের। তাইতো সন্তানদের মুখে বাবা ডাক শুনতে বার বার বাঁচার আকুতি যানাচ্ছে নুরুল আলম। চিকিৎসার টাকার অভাবে আজ জীবনের শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে সে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে তার সামনে আজ শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। নুরুল আলম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন কাঠ মিলের শ্রমিক।

জানা যায়, নুরুল আলম গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কিডনি বিশেষজ্ঞ ড. হারুন-অর-রশিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নুরুলের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় যে তার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু টাকা জোগার করে ভারতের মাদ্রাজের ক্রিসটিয়ান মেডিকেল কলেজে গেলেও পযার্প্ত টাকার অভাবে চিকিৎসা না করেই দেশে চলে আসতে হয় তাকে। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার শ্যামলীর সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজওয়ানুর রহমানের তত্বাবধানে ডায়ালাসিস করে বেঁচে আছে।

নুরুলের স্ত্রী জানান, ডাক্তার মাসে ৮ বার ডায়ালাসিস করার কথা কইছে। আমাদের থাকার ১ শতাংশ বাড়ী ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আর কিছু নাই। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সকলের তিন বেলা খাবার জোগার করতেই আমার হিমসিম খাইতে হয়। এর মধ্যে আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে যখন কিছু টাকা সহযোগীতা পাই তখনই ডায়ালাসিস করাইতে পারি। সহযোগীতা না পাইলে আর করা হয় না। মনে এখন একটাই কষ্ট ঠিক মতো চিকিৎসা না করাইতে পারলে আমার সন্তানরা তার বাপেরে আর বাবা বইলা ডাকতে পারবো না। স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেছেন স্ত্রী সূমি বেগম।

নুরুল আলমকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক (মুরাদনগর শাখা)। ব্যাংক হিসাব নম্বর- ১৩২০১০১০১৬৬৩৭। যোগাযোগ ও বিকাশ (পারসোনাল) নম্বর- ০১৮২৪৫৫৭৬২৭, ০১৮৭২০৮৯৩১৯।

শেয়ার করুন

বাবা ডাক শুনতে নুরুলের বাঁচার আকুতি টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে আছে কিডনির চিকিৎসা

তারিখ : ১২:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

আরিফ গাজী :

বড় ছেলে আরাফাত হোসেনের ১০ বছর বয়স আর ছোট মেয়ে নুসরাত আক্তরের বয়স মাত্র ৮। এরই মধ্যে দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বাবা নুরুল আলমের। যেমনী ভাবে বাবা ডেকে মন ভরেনি ছেলে আরাফাত ও মেয়ে নুসরাতের, ঠিক তেমনি ভাবে বাবা ডাক শুনেও যেন মন ভরছে না নুরুলের। তাইতো সন্তানদের মুখে বাবা ডাক শুনতে বার বার বাঁচার আকুতি যানাচ্ছে নুরুল আলম। চিকিৎসার টাকার অভাবে আজ জীবনের শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে সে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে তার সামনে আজ শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। নুরুল আলম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন কাঠ মিলের শ্রমিক।

জানা যায়, নুরুল আলম গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কিডনি বিশেষজ্ঞ ড. হারুন-অর-রশিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নুরুলের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় যে তার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু টাকা জোগার করে ভারতের মাদ্রাজের ক্রিসটিয়ান মেডিকেল কলেজে গেলেও পযার্প্ত টাকার অভাবে চিকিৎসা না করেই দেশে চলে আসতে হয় তাকে। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার শ্যামলীর সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজওয়ানুর রহমানের তত্বাবধানে ডায়ালাসিস করে বেঁচে আছে।

নুরুলের স্ত্রী জানান, ডাক্তার মাসে ৮ বার ডায়ালাসিস করার কথা কইছে। আমাদের থাকার ১ শতাংশ বাড়ী ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আর কিছু নাই। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সকলের তিন বেলা খাবার জোগার করতেই আমার হিমসিম খাইতে হয়। এর মধ্যে আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে যখন কিছু টাকা সহযোগীতা পাই তখনই ডায়ালাসিস করাইতে পারি। সহযোগীতা না পাইলে আর করা হয় না। মনে এখন একটাই কষ্ট ঠিক মতো চিকিৎসা না করাইতে পারলে আমার সন্তানরা তার বাপেরে আর বাবা বইলা ডাকতে পারবো না। স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেছেন স্ত্রী সূমি বেগম।

নুরুল আলমকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক (মুরাদনগর শাখা)। ব্যাংক হিসাব নম্বর- ১৩২০১০১০১৬৬৩৭। যোগাযোগ ও বিকাশ (পারসোনাল) নম্বর- ০১৮২৪৫৫৭৬২৭, ০১৮৭২০৮৯৩১৯।