০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তদন্ত ছাড়া সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাংবাদিক ফয়সাল’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের কুমিল্লার বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু কুমিল্লা স্টেডিয়ামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশী অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার আইদি বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে কুমিল্লায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান ওসমান হাদি আর নেই হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী

বিদেশি শিক্ষার্থীদের রসমালাই ও খাদি প্রেম

  • তারিখ : ০৫:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 935

কুমিল্লার একটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী। তারা এখানে বাংলা ভাষা শিখছেন। বাংলায় কথা বলে, বাংলায় গান গায়। খায় বাঙালি খাবার। কুমিল্লার রসমালাই ও খাদির পোশাকেরও প্রেমে মজেছে তারা। কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছে ২৫ বিদেশি শিক্ষার্থী। ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে ২৩৫ জন, ময়নামতি মেডিকেল কলেজে ১৩০ জন, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজে ৬১ জন। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভারতের। রয়েছে পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, নেপাল ও ইউরোপের কিছু দেশের শিক্ষার্থী। তারা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কুমিল্লায় বিভিন্ন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজের মালদ্বীপের শিক্ষার্থী মো. সাফরাজ। তার ভাষা দিবেহী। কুমিল্লায় এসে তিনি বাংলা শিখেছেন। এখানকার খাবার তার প্রিয়। লিখতে পারেন না, তবে বাংলা একটু একটু পড়তে পারেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে এসেছেন এহমাদ ইয়ার। পড়েন ৫ম বর্ষে। পাস করার পর ফিরে যাবেন দেশে। বাংলাদেশের শিক্ষাজীবনের সুন্দর সময় তিনি কখনো ভুলবেন না জানিয়ে বলেন, নোয়াখালী, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা বুঝেন। এখনো চট্টগ্রামেরটা আয়ত্ত করতে পারেননি। এখন খাবার ও পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তারা দেশে রুটি খেতেন। এখানে এসে মাছে-ভাতে বাঙালি হয়ে গেছেন! আরেক পাকিস্তানি মো. তারেক এসেছেন পেশোয়ার থেকে। হাজেম খালিদ নাসির এসেছেন ফিলিস্তিন থেকে। বাংলা আয়ত্ত করার চেষ্টায় আছেন তারা।  কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ইজাজুল হক বলেন, শেখ রাসেল হোস্টেলের একটি ফ্লোরে বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকেন। তাদেরসহ সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে তারা সচেষ্ট বলে জানান।

ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. কলিম উল্লাহ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশছে। বাংলা বলছে। বাংলায় গান গাইছে। তাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে মধুর ভাষা বাংলা। ময়নামতি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কে এ মান্নান বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় এসে এখানকার সংস্কৃতি আয়ত্ত করছে। তারা ভালো বাংলা বলছে। এখানকার খাবারও তাদের পছন্দ। চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম বলেন, কুমিল্লার মেডিকেল কলেজগুলোয় শিক্ষার মান বেড়েছে। তাই এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাদের বাংলা চর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষার পরিধি বাড়ছে।

শেয়ার করুন

বিদেশি শিক্ষার্থীদের রসমালাই ও খাদি প্রেম

তারিখ : ০৫:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

কুমিল্লার একটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী। তারা এখানে বাংলা ভাষা শিখছেন। বাংলায় কথা বলে, বাংলায় গান গায়। খায় বাঙালি খাবার। কুমিল্লার রসমালাই ও খাদির পোশাকেরও প্রেমে মজেছে তারা। কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছে ২৫ বিদেশি শিক্ষার্থী। ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে ২৩৫ জন, ময়নামতি মেডিকেল কলেজে ১৩০ জন, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজে ৬১ জন। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভারতের। রয়েছে পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, নেপাল ও ইউরোপের কিছু দেশের শিক্ষার্থী। তারা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কুমিল্লায় বিভিন্ন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজের মালদ্বীপের শিক্ষার্থী মো. সাফরাজ। তার ভাষা দিবেহী। কুমিল্লায় এসে তিনি বাংলা শিখেছেন। এখানকার খাবার তার প্রিয়। লিখতে পারেন না, তবে বাংলা একটু একটু পড়তে পারেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে এসেছেন এহমাদ ইয়ার। পড়েন ৫ম বর্ষে। পাস করার পর ফিরে যাবেন দেশে। বাংলাদেশের শিক্ষাজীবনের সুন্দর সময় তিনি কখনো ভুলবেন না জানিয়ে বলেন, নোয়াখালী, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা বুঝেন। এখনো চট্টগ্রামেরটা আয়ত্ত করতে পারেননি। এখন খাবার ও পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তারা দেশে রুটি খেতেন। এখানে এসে মাছে-ভাতে বাঙালি হয়ে গেছেন! আরেক পাকিস্তানি মো. তারেক এসেছেন পেশোয়ার থেকে। হাজেম খালিদ নাসির এসেছেন ফিলিস্তিন থেকে। বাংলা আয়ত্ত করার চেষ্টায় আছেন তারা।  কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ইজাজুল হক বলেন, শেখ রাসেল হোস্টেলের একটি ফ্লোরে বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকেন। তাদেরসহ সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে তারা সচেষ্ট বলে জানান।

ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. কলিম উল্লাহ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশছে। বাংলা বলছে। বাংলায় গান গাইছে। তাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে মধুর ভাষা বাংলা। ময়নামতি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কে এ মান্নান বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় এসে এখানকার সংস্কৃতি আয়ত্ত করছে। তারা ভালো বাংলা বলছে। এখানকার খাবারও তাদের পছন্দ। চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম বলেন, কুমিল্লার মেডিকেল কলেজগুলোয় শিক্ষার মান বেড়েছে। তাই এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাদের বাংলা চর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষার পরিধি বাড়ছে।