মাস্কের ব্যবহার কমেছে কুমিল্লায়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুমিল্লায় সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে মাস্কের ব্যবহার কমেছে। গত এক-দেড় মাস পূর্বের সেই পরিবেশ নেই। শহর এবং গ্রাম দুইটাকে সমানভাবে তুলনা করলে প্রায় ৬০ভাগ মানুষ মাস্কের ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন। তবে গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষের মধ্যে কিছুটা মাস্কের ব্যবহার থাকলেও বাকি ৪০ ভাগ মানুষ সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকারি পরিপত্র জারি হলেও কিন্তু সবার মুখে মাস্ক নেই। কেউ মুখের মাস্ক ঝুলিয়ে রাখেন থুতনিতে। কেউ রাখেন ব্যাগে ও পকেটে। প্রয়োজন পড়লে ব্যাগ কিংবা পকেট থেকে বের করছেন। এছাড়া বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষের মধ্যে নেই কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব।

কুমিল্লার শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতা এবং অধিকাংশ বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করছে না। রবিবার বিকেলে কান্দিরপাড় নিউমার্কেট সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্ডরগ্রাউন্ড থেকে শুরু করে ৪ তলা পর্যন্ত কেনাবেচায় মার্কেট সরগরম। ক্রেতা কি বিক্রেতা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

হঠাৎ খবর আসলও প্রশাসনের উপস্থিত কথা। দেখা গেল ব্যাগ, পকেট, বক্স থেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন। কেউ থুতনি থেকে তুলে তড়িঘড়ি করে মাস্ক লাগিয়েছেন মুখে। ঠিক একই দৃশ্য কুমিল্লার সাত্তার খান, খন্দকার টাওয়ার, টাউনহল সুপার মার্কেট, ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজাসহ সবধরনের মার্কেট, বিপনী বিতান ও সড়কের দুইপাশের দোকানপাটগুলোতে।

এই ছাড়াও মাস্কের ব্যবহার নেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা, রিকশা এবং বাসসহ প্রত্যেকটি গণপরিবহনে। মসজিদ, সরকারি-বেসকারি অফিস-আদালতেও একই অবস্থা।

অন্যদিকে আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দিপাড়সহ নগরীর আরও কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা যায় শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। যাদের মুখে মাস্ক দেখা গেছে, তার অধিকাংশই থুতনিতে।

বাহা উদ্দিন নামে এক রিকশা চালক যাত্রী নিয়ে নগরীর কান্দিরপাড় থেকে রাজগঞ্জ যাচ্ছেন। তার রিকশায় একজন, দুইজন নয়,সামাজিক দূরত্ব ভেঙ্গে তিনজন বসেছেন। তাদের কারও মুখে মাস্ক নেই। অথচ চালক মাস্ক পরে তিনজনকে নিয়ে রিকশা চালাচ্ছেন।

চালক জানান, গরমের কারণে গাড়ি চালাতে গিয়ে সবসময় মাস্ক পড়া সম্ভব হয় না। টানা গাড়ি চাপলে নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসে। তারপরও তিনি চেষ্টা করেন যতক্ষণ বাসার বাড়িরে থাকেন মাস্ক ব্যবহার করতে।

মাস্ক কেন পড়ছেন না? রিকশায় বসে থাকা তিন যাত্রী জানান, তাদের মাস্ক পকেটে এবং বাসায় আছে। এখন আগের মতো করোনাভাইরাস নেই। এদিকে মাস্ক পরলে গরম লাগে।

অন্যদিকে নগরীর নজরুল এভিনিউতে তিন বন্ধু মিলে পেয়ারা, আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করছেন। তাদের মধ্যে কেউই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এছাড়া যে কয়জন ফল কিনতে আসলেন তাদের কারও থুতনিতে এবং হাতে মাস্ক ছিল।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম সরদার জানান, মাস্ক ব্যবহারে সরকারি পরিপত্র জারি হওয়ার পর থেকেই মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই সিডিউল মোতাবেক মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরাপুরি মুক্ত না পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!