০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

মুরাদনগরে করোনা কালিন কর্মসূচী প্রভাব ফেলেছে ভোটের মাঠে

  • তারিখ : ০৫:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / 428

আরিফ গাজী :

করোনার দাপটে যখন কাবু হয়ে পড়েছিলেন সাধারন কৃষক ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ, তখন ভরসার ডালা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কামাল উদ্দিন খন্দকার। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে দরদী কামাল নামে পরিচিত। তিনি হচ্ছেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক। সর্বদায় চলেন সাদামাটা। উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের মৃত মাওলানা কাজী জসিম উদ্দিন খন্দকারের আট সন্তানের মধ্যে তিনি হলেন তৃতীয়।

অন্য ভাইয়েরা আয় রোজগারে মনোনিবেশ করলেও কামালের ধ্যাণজ্ঞান হচ্ছে মেহনতী মানুষের পাশে দাড়ানো। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ তাকে মূল্যায়ন করে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ এখন মনে করছেন, করোনা কালের প্রতিদান কিছুটা হলেও ফেরত দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা। নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে কামালকে চেয়ারম্যান বানিয়ে কৃতজ্ঞতার বোঝাটা কিছুটা হলেও হালকা করতে চায় তারা। তারা মনে করছেন দূর্দিনে যে লোকটি সাধারণ মানুষের পাশে থাকে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেনা।

২০ গ্রামের অন্তত ৪০ জন সাধারণ ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কামাল উদ্দিন খন্দকার সাধারণ কৃষকের ধান কেটে বাড়ী পৌঁছে দিয়েছেন। খেটে খাওয়া যে সমস্ত মানুষ কর্ম হারিয়েছিলো তাদের সববিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এই ইউনিয়নে অনেক কোটিপতি ব্যবসায়ী ছিলেন যারা সাহায্য সহযোগীতা করবেন তো দূরের কথা ঘর থেকে বের হন নাই করোনার ভয়ে। আমরা টাকার কাছে ভোট বিক্রি করবো না, কামালের ভালোবাসার প্রতিদান দিবো।

দারোরা ইউনিয়নের প্রভাবসালী নেতা ছানু মেম্বার বলেন, কামাল চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় অনেকেই ভোটে দাড়াতে সাহস পায়নি। কারণ সে যেমন জনপ্রিয় তেমনি সাধারণ মানুষের বন্ধু। দলমত নির্ভিশেষে সাধারণ মানুষের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কামাল খন্দাকার।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রৌশন আলী কমান্ডার বলেন, কামাল খন্দকার নৌকা পাওয়ায় কুচক্রিমহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিলো। আল্লাহর রহমতে ও তার পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার থাকায় কেউ তার ক্ষতি করতে পারেনি। বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে পাশ করার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে।

মনির হোসেন খাঁন প্রবিন শিক্ষক বলেন, অন্যান্ন নির্বাচনের চাইতে এবারের নির্বাচনে ভোটাররা অনেক সচেতন। তারা প্রার্থীদের অতীত পর্যালোচনা করছেন বেশ। কোন প্রতিশ্রুতী বা প্রলোভনে গা ভাসাতে চাচ্ছেন না তারা। মাদকের সাথে সম্পৃক্ত নয় এবং বিপদ আপদে কাছে পাওয়া যায় এমন ব্যক্তিকেই পছন্দের তালিকায় প্রধান্য দিচ্ছেন তারা।

শেয়ার করুন

মুরাদনগরে করোনা কালিন কর্মসূচী প্রভাব ফেলেছে ভোটের মাঠে

তারিখ : ০৫:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

আরিফ গাজী :

করোনার দাপটে যখন কাবু হয়ে পড়েছিলেন সাধারন কৃষক ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ, তখন ভরসার ডালা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কামাল উদ্দিন খন্দকার। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে দরদী কামাল নামে পরিচিত। তিনি হচ্ছেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক। সর্বদায় চলেন সাদামাটা। উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের মৃত মাওলানা কাজী জসিম উদ্দিন খন্দকারের আট সন্তানের মধ্যে তিনি হলেন তৃতীয়।

অন্য ভাইয়েরা আয় রোজগারে মনোনিবেশ করলেও কামালের ধ্যাণজ্ঞান হচ্ছে মেহনতী মানুষের পাশে দাড়ানো। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ তাকে মূল্যায়ন করে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ এখন মনে করছেন, করোনা কালের প্রতিদান কিছুটা হলেও ফেরত দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে তারা। নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে কামালকে চেয়ারম্যান বানিয়ে কৃতজ্ঞতার বোঝাটা কিছুটা হলেও হালকা করতে চায় তারা। তারা মনে করছেন দূর্দিনে যে লোকটি সাধারণ মানুষের পাশে থাকে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেনা।

২০ গ্রামের অন্তত ৪০ জন সাধারণ ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কামাল উদ্দিন খন্দকার সাধারণ কৃষকের ধান কেটে বাড়ী পৌঁছে দিয়েছেন। খেটে খাওয়া যে সমস্ত মানুষ কর্ম হারিয়েছিলো তাদের সববিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এই ইউনিয়নে অনেক কোটিপতি ব্যবসায়ী ছিলেন যারা সাহায্য সহযোগীতা করবেন তো দূরের কথা ঘর থেকে বের হন নাই করোনার ভয়ে। আমরা টাকার কাছে ভোট বিক্রি করবো না, কামালের ভালোবাসার প্রতিদান দিবো।

দারোরা ইউনিয়নের প্রভাবসালী নেতা ছানু মেম্বার বলেন, কামাল চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় অনেকেই ভোটে দাড়াতে সাহস পায়নি। কারণ সে যেমন জনপ্রিয় তেমনি সাধারণ মানুষের বন্ধু। দলমত নির্ভিশেষে সাধারণ মানুষের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কামাল খন্দাকার।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রৌশন আলী কমান্ডার বলেন, কামাল খন্দকার নৌকা পাওয়ায় কুচক্রিমহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিলো। আল্লাহর রহমতে ও তার পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার থাকায় কেউ তার ক্ষতি করতে পারেনি। বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে পাশ করার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে।

মনির হোসেন খাঁন প্রবিন শিক্ষক বলেন, অন্যান্ন নির্বাচনের চাইতে এবারের নির্বাচনে ভোটাররা অনেক সচেতন। তারা প্রার্থীদের অতীত পর্যালোচনা করছেন বেশ। কোন প্রতিশ্রুতী বা প্রলোভনে গা ভাসাতে চাচ্ছেন না তারা। মাদকের সাথে সম্পৃক্ত নয় এবং বিপদ আপদে কাছে পাওয়া যায় এমন ব্যক্তিকেই পছন্দের তালিকায় প্রধান্য দিচ্ছেন তারা।