আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবু কালাম নামের এক ব্যক্তির বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে রামদায়ের আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছে ছোট ভাই সাদেক। এ ঘটনায় মুরাদনগর থানায় বাবুলসহ তার পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
আহত আবু কালাম ও সাদেক উপজেলা সদরের আলীরচর গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়া ব্যাপারীর ছেলে ও প্রতিবেশী বাবুল মিয়া একই গ্রামের মৃত ইউনূছ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের আলীরচর গ্রামের আবু কালামের পরিবারের সাথে একই গ্রামের বাবুল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জায়গায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে রবিবার বিকালে বাড়ির সীমানার খুটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আবু কালামের ছোট ভাই সবুজ মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন বাবুল ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এক পর্যায় বাবুল সবুজকে মারধর শুরু করেন।
এ সময় তার চিৎকার শুনে বড় ভাই আবু কালাম ও সাদেক বাড়ী থেকে বের হয়ে সবুজকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে পূর্বপরিকল্পীত ভাবে বাবুল ও তার দুই ছেলে রামদা, ছুরি ও শাবল দিয়ে আবু কালামসহ তার ছোট দুই ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে বাবুলের ছোট ছেলে সিয়াম রামদা দিয়ে আবু কালামকে এলোপাতারি আঘাত করে তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নিয়ে যায়। অন্যদিকে বাবুল রামদা দিয়ে সাদেকের মাথায় সা-জোরে আঘাত করলে রামদায়ের আঘাতে সাদেকের মাথায় গুরুতর জখম হয়।
এ সময় আবু কালামের পরিবারের লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বাবুল ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় আবু কালাম ও তার ছোট ভাই সাদেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাহিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় রবিবার রাতেই বাবুলসহ তার পরিবারের ৬জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আসামী ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।