১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

মুরাদনগরে দিন দিন বাড়ছে চোখ উঠা রোগী

  • তারিখ : ০৩:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 531

আরিফ গাজী:

কুমিল্লার মুরাদনগরে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ উঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগী। প্রতিবছর গ্রীষ্মে এ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ। চোখ ওঠার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাচ্ছে না। হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারেও বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা।

জানা যায়, মুরাদনগর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তাছাড়া, চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও পল্লী চিকিৎসকের নিকট চোখ ওঠা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে এখন চোখ ওঠা রোগীর ভিড় বাড়ছে।

চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ভাইরাস জনিত রোগ। এতে ভয়ের তেমন কিছু নেই। কারো চোখে তাকালেই চোখ উঠা রোগ হয় না। তবে এ রোগ ছোঁয়াচে, এটির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো কিছু না ছোঁয়া ও তাদের ব্যবহারের জিনিস আলাদা করতে হবে।

কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা) রোগ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম।

এ ব্যপারে তিনি বলেন, “কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে তিন চার দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়।

আক্রান্ত রোগী চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না-দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না-করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

এ রোগ বিষয়ে না ঘাবড়িয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ সমস্যা থেকে স্বল্প সময়ে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।”

শেয়ার করুন

মুরাদনগরে দিন দিন বাড়ছে চোখ উঠা রোগী

তারিখ : ০৩:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আরিফ গাজী:

কুমিল্লার মুরাদনগরে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ উঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগী। প্রতিবছর গ্রীষ্মে এ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ। চোখ ওঠার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাচ্ছে না। হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারেও বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা।

জানা যায়, মুরাদনগর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তাছাড়া, চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার ও পল্লী চিকিৎসকের নিকট চোখ ওঠা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে এখন চোখ ওঠা রোগীর ভিড় বাড়ছে।

চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ভাইরাস জনিত রোগ। এতে ভয়ের তেমন কিছু নেই। কারো চোখে তাকালেই চোখ উঠা রোগ হয় না। তবে এ রোগ ছোঁয়াচে, এটির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো কিছু না ছোঁয়া ও তাদের ব্যবহারের জিনিস আলাদা করতে হবে।

কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা) রোগ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম।

এ ব্যপারে তিনি বলেন, “কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ এ সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সমস্যা থেকে তিন চার দিনের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়।

আক্রান্ত রোগী চোখে কালো গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা, রোদে যথাসম্ভব কম যাওয়া, চোখে হাত না-দেওয়া, চোখ পরিষ্কার করতে নরম টিস্যু ব্যবহার করা, পুকুর বা নদীনালায় গোসল না-করা, রোগীর ব্যবহৃত তোয়ালে বা অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

এ রোগ বিষয়ে না ঘাবড়িয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ সমস্যা থেকে স্বল্প সময়ে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।”