মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে চাচার জমির ধান পুুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ভাতিজার বিরুদ্ধে

আরিফ গাজী।।

কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কীটনাশক ছিটিয়ে আপন চাচার জমির ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জ্বলে গেছে প্রায় ৯০ শতক জমির ধান। রবিবার উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলম মিয়ার অভিযোগ, ‘বাচ্চা নিয়ে মারামারির ঘটনায় বড় ভাই হোসেন মিয়া তার দুই ছেলে আঃ আলিম ও লেয়াকত আলীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলাও চলছে। এর জেরে তারা আমার ক্ষেতের সব ধান কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে।’ পাশাপাশি আমার সাথে চলা ফেরা করার কারনে পাশের বাড়ীর মনিরেরও ৪৫ শতক জমির ধান বিষ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। তারা এখানেই ক্ষান্ত হয় নাই আমার জমির ধান নষ্ট কইরা উল্টা মিথ্যা অভিযোগ দিয়া পুলিশ দিয়া অহন হয়রানি করতাছে।

আলম মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, ‘আর কিছুদিন পরেই ধান ঘরে তোলা যেত। এই জমির ধান দিয়াই সারা বছর চলতে হয়। তারা আমাদের মুখের রিজিক কাইরা নিছে। ক্ষেতের কোনো ধানই আর ভালো নাই।’ ঋণ করে এই জমি করেছিলাম। এক মুহূর্তেই তারা আমার স্বপ্ন ধ্বংস কইরা দিছে। পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামার জোগাড় হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদেরও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাইন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যেটি মনে হয়েছে এটি কোন রোগ না। তবে বিষয়টি আরো ভালো ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য আমরা জমির ধান গাছ, জমির মাটি সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু জেলার ল্যাব চেষ্টে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে আরো পুরোপুরি ক্লিয়ার হওয়া জাবে এটি কি রোগের কারণে নষ্ট হয়েছে, নাকি বিষ। তবে কেউ যদি বিষ দিয়ে থাকে এভাবে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধের শামিল।’

কৃষক আলম মিয়াকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানি করার বিষয়টি জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, এ বিষয়ে কোন কিছুই আমার জানা নেই।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!