আরিফ গাজী ।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্ত্রী শরিফা আক্তারকে (১৯) আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী শরিফ মিয়াকে (২৬) আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটকের পর পরদিন শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে হত্যার কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আটক শরিফ মিয়া উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। নিহত শরিফা আক্তার উপজেলার পালাসুতা গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মাত্র দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে শরিফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শরিফা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে পছন্দ না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী শরিফ মিয়া।
গত বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মধ্যে নতুন করে বিগত দিনের মতো আবারো ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায় শরিফা তার স্বামীকে বলে যে সে যদি এভাবে তার উপর নির্যাতন করে তাহলে আত্মহত্যা করবে। এরই জের ধরে বৃহম্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এ সময় গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন শরিফা আক্তার। পরে স্থানীয়রা শুক্রবার সকালে মুরাদনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং স্বামী শরিফ মিয়াকে আটক করেন। তবে পরিবারের দাবি শরিফাকে তার স্বামী বিয়ের পর থেকেই পছন্দ করতো না। যে কারণে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহত শরিফার মা শিরিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আটক স্বামী শরিফ মিয়াকে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।