আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে নৌকা ডুবাতে মরিয়া হয়ে স্ব-শরিরে প্রচার প্রচারণাসহ ভোটারদের হাতে হাতে টাকা বিলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯নং দারোরা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দিন খন্দকার ওই অভিযোগ করেন।
অভিযোক্ত মনিরুজ্জামান মানিক কাজিয়াতল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও কুমিল্লা আদর্শ্য সদর উপজেলায় খাদ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত।
১৯নং দারোরা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মানিক। সে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় খাদ্য পরিদর্শক পদে চাকুরি করছেন। মানিক দিনের বেলায় অন্য উপজেলা থেকে লোকজন এনে মোটরসাইকেল শোডাউন করে ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়াচ্ছেন। আর রাতের বেলায় ভোটারদের হাতে টাকা গুজে দিচ্ছেন সে।
এ ঘটনা মৌখিক ভাবে একাদিকবার জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মানিকের মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। পরে আর তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) আবুল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানিক ভোটারদের ভয় দেখায়নি বা টাকাও দেয়নি। সে আমার পক্ষে ভোট চেয়েছে মাত্র।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আলম সিকদার বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তা কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাতো দূরের কথা তার পক্ষেও কাজ করতে পারবে না। যদি কেউ করে তাইলে সে আইন লঙ্গন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন সরকারী কর্মকর্তার পক্ষে নিবার্চনী প্রচারণার সুযোগ নেই।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলেব্যবস্থা নিবো।