০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লকডাউন-কারফিউ তুলে নিলে পরিণতি কী হবে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  • তারিখ : ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০
  • / 1072

মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন, কারফিউ-এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা তড়িঘড়ি করে শিথিল করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শুক্রবার জেনেভায় করোনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ইউরোপের কিছু দেশে (স্পেন, ইতালি) এই মহামারি আগের তুলনায় কিছুটা শ্লথগতিতে বিস্তার করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন, কারফিউ এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করলে এই সংক্রমণের ভয়াবহ পুনরুত্থান ঘটতে পারে।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁইছুঁই। আর প্রাণ গেছে লাখেরও বেশি। শুরুতে চীনকে আক্রমণ করে করোনা। পরে সর্বোচ্চ আঘাত হানে ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে।

তবে দেশ দুটিতে করোনার বিস্তার আগের তুলনায় কমেছে। এই অবস্থায় আরোপিত বাধানিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে ইতালি ও স্পেন।

সোমবার থেকে স্পেনে নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে, ইতালিতে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও মঙ্গলবার থেকে কিছু সংখ্যক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ইতালি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘করোনার কারণে আরোপিত বাধানিষেধ কীভাবে শিথিল করা যায় সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে হু। তবে এতে তাড়াহুড়ো করা মোটেও ঠিক হবে না। তড়িঘড়ি করে বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হলে (সংক্রমণের) মারাত্মক পুনরুত্থান ঘটবে। যথাযথভাবে এর ব্যবস্থাপনা না করা গেলে অবস্থা হবে ভয়ঙ্কর।’

শেয়ার করুন

লকডাউন-কারফিউ তুলে নিলে পরিণতি কী হবে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

তারিখ : ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০

মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন, কারফিউ-এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা তড়িঘড়ি করে শিথিল করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শুক্রবার জেনেভায় করোনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ইউরোপের কিছু দেশে (স্পেন, ইতালি) এই মহামারি আগের তুলনায় কিছুটা শ্লথগতিতে বিস্তার করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন, কারফিউ এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করলে এই সংক্রমণের ভয়াবহ পুনরুত্থান ঘটতে পারে।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁইছুঁই। আর প্রাণ গেছে লাখেরও বেশি। শুরুতে চীনকে আক্রমণ করে করোনা। পরে সর্বোচ্চ আঘাত হানে ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে।

তবে দেশ দুটিতে করোনার বিস্তার আগের তুলনায় কমেছে। এই অবস্থায় আরোপিত বাধানিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে ইতালি ও স্পেন।

সোমবার থেকে স্পেনে নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে, ইতালিতে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও মঙ্গলবার থেকে কিছু সংখ্যক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ইতালি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘করোনার কারণে আরোপিত বাধানিষেধ কীভাবে শিথিল করা যায় সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে হু। তবে এতে তাড়াহুড়ো করা মোটেও ঠিক হবে না। তড়িঘড়ি করে বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হলে (সংক্রমণের) মারাত্মক পুনরুত্থান ঘটবে। যথাযথভাবে এর ব্যবস্থাপনা না করা গেলে অবস্থা হবে ভয়ঙ্কর।’