০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লকডাউন: ছেলেকে উদ্ধারে স্কুটি নিয়ে ১,৪০০ কিমি পাড়ি দিলেন মা

  • তারিখ : ০২:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
  • / 852

অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোরে লকডাউনে আটকাপড়া ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে স্কুটারে করে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন তেলেঙ্গানার এক মা।

রাজিয়া বেগম নামের ওই নারী একটানা তিন দিন স্কুটার চালিয়ে ছেলেকে ফেরত দিয়ে আসেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে সোমবার সকালে এই দুঃসাধ্য যাত্রায় বের হন তিনি। এরপর একাই তিনি নেলোরে পৌঁছান। এরপর বুধবার তার সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন।

বৃহস্পতিবার পিটিআইকে রাজিয়া বলেন, একজন নারীর জন্য এটা ছিল এক কঠিন যাত্রা। কিন্তু ছেলেকে ঘরে নিয়ে আসার অনড় সিদ্ধান্ত সেই ভয়কে জয় করেছে। সঙ্গে রুটি নিয়েছিলাম, পথে সেগুলো খেয়েই বেঁচেছিলাম।

‘রাতে যখন স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন রাস্তায় কোনো লোকজন ছিল না। চারদিকে কেবলই নীরবতা।’

নিজামাবাদের একটি সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা রাজিয়া বেগম। ১৫ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলেকে নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি।

এক ছেলে প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক করেছেন। নিজামুদ্দিন নামের ১৯ বছর বয়সী আরেক ছেলে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার কোচিং করছেন।

বন্ধুকে পৌঁছে দিতে গত ১২ মার্চ নিজামুদ্দিন নেলোরের রহমতাবাদ যান। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেখানে আটকা পড়েন। ছেলের বাড়িতে ফেরার আকুতি শুনে রাজিয়া বেগম ঘরে বসে থাকতে পারেননি। তিনি নিজেই স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

শেয়ার করুন

লকডাউন: ছেলেকে উদ্ধারে স্কুটি নিয়ে ১,৪০০ কিমি পাড়ি দিলেন মা

তারিখ : ০২:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০

অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোরে লকডাউনে আটকাপড়া ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে স্কুটারে করে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন তেলেঙ্গানার এক মা।

রাজিয়া বেগম নামের ওই নারী একটানা তিন দিন স্কুটার চালিয়ে ছেলেকে ফেরত দিয়ে আসেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে সোমবার সকালে এই দুঃসাধ্য যাত্রায় বের হন তিনি। এরপর একাই তিনি নেলোরে পৌঁছান। এরপর বুধবার তার সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন।

বৃহস্পতিবার পিটিআইকে রাজিয়া বলেন, একজন নারীর জন্য এটা ছিল এক কঠিন যাত্রা। কিন্তু ছেলেকে ঘরে নিয়ে আসার অনড় সিদ্ধান্ত সেই ভয়কে জয় করেছে। সঙ্গে রুটি নিয়েছিলাম, পথে সেগুলো খেয়েই বেঁচেছিলাম।

‘রাতে যখন স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন রাস্তায় কোনো লোকজন ছিল না। চারদিকে কেবলই নীরবতা।’

নিজামাবাদের একটি সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা রাজিয়া বেগম। ১৫ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলেকে নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি।

এক ছেলে প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক করেছেন। নিজামুদ্দিন নামের ১৯ বছর বয়সী আরেক ছেলে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার কোচিং করছেন।

বন্ধুকে পৌঁছে দিতে গত ১২ মার্চ নিজামুদ্দিন নেলোরের রহমতাবাদ যান। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেখানে আটকা পড়েন। ছেলের বাড়িতে ফেরার আকুতি শুনে রাজিয়া বেগম ঘরে বসে থাকতে পারেননি। তিনি নিজেই স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।