শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন – ওবায়দুল কাদের

নিজের ব্যবহৃত দুই শব্দযুগল ‘তলে তলে’ ও ‘খেলা হবে’ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার মত, এসব কথার যুক্তি আছে এবং জনগণ খায় (পছন্দ কর)। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।

‘তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে’— নিজের আলোচিত এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কথা তিনি ভুল বলেননি। কারণ, এক সপ্তাহ আগেও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের খবর কেউ জানত না।

‘তলে তলে আপস হয়েছে’ এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দেশে গুজব এবং অপপ্রচারের জন্য বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে আমাদের (সরকার) সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অবনতির দিকে। আমাদের সম্পর্ক খারাপ। এ ধরনের একটি গুজব এবং অপপ্রচার ব্যাপকভাবে সমাজে ছড়িয়েছে। সম্পর্ক খারাপ এ বিষয়টি আমাদের দেশে সার্বিক অবস্থা রাজনীতিতে এ মুহূর্তে কাম্য নয়। আমি কথাটা যা বলেছি সেটি কি আপনারা অনুধাবন করছেন না?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে যে বৈঠকের বিষয় এক সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ জানে না। তাহলে তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে আমি যে কথা বলেছি, আমি তো ভুল বলিনি।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যার যে সেলফি তখনো তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখন বলাবলি হচ্ছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে হয়নি। এটা কোনো কাগজেও আসেনি, মিডিয়াতেও আসেনি। সুতরাং তলে তলে আপস মানে দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন, বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমি সেটা বোঝাতে চেয়েছি।’ তলে তলে শব্দটা অনেকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, ‘তলে তলে যে বলি সেটা পাবলিক খায়। সে জন্যই তো বলি খেলা হবে।’

নতুন মার্কিন ভিসানীতি কার্যকর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কথাটা হচ্ছে এই, আমেরিকা বলছে তারা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। অন্য কিছু না। এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি। আমরা তো ইলেকশন চাই, আমরা কেন বাধা দেব? আমরা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চাই, কাজেই বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ আমাদের বেলায় খাটে না।’

গত ৩ অক্টোবর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আমিনবাজারের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞার হুমকি-ধমকি শেষ। এজন্য মির্জা ফখরুলের গলার সুর নরম হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। অক্টোবরে, নভেম্বরে, ডিসেম্বরে কিছুই হবে না।

তিনি আরও বলেন, দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। শত্রুতা কারও সঙ্গে নেই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা এমন ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছেন। ইলেকশন (নির্বাচন) হবে যথাসময়ে।

তিনি বলেন, দুই সেলফিতেই বাজিমাত, তলে তলে আপস হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা, পুতুল আর জো বাইডেনের সেলফি। এক সেলফি দিল্লিতে আর এক সেলফি নিউইয়র্কে। প্রথমে দিল্লিতে বাজিমাত, তারপর নিউইয়র্কে বাজিমাত। কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ স্যাংশন আর ভিসানীতির তোয়াক্কা করে না।

 

যুগান্তর

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!