সাড়ে ১০ ঘণ্টা টেনশনে থাকার পর পাকশীর দিয়াড় বাঘইল গ্রামের মানুষ জানল বোমা সদৃশ বস্তু দুটি আসলে বোমা নয়।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাস আতংকের মধ্যে পাকশীতে বোমা আতংকে ছিল দুটি বাড়ির আশপাশের বাড়ির সদস্যরাও।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী দিয়াড় বাঘইল গ্রামে দুটি বাড়ির দরজার সামনে দুটি বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পান পথচারীরা। পাশাপাশি দুই বাড়িতে দুটি বোমা স্থাপন করায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এই দুটি বস্তু ভালোভাবে টেপ দিয়ে জড়ানো ও বৈদ্যুতিক তার টেনে ব্যাটারি লাগানো ছিল।
মঙ্গলবার রাতে অথবা ভোরে কে বা কারা এই বোমার মতো দেখতে এই বস্তু দুটি স্থাপন করে রেখে যায়। খবর পেয়ে সকালেই পুলিশ এসে বাড়ি দুটি ঘেরাও করে রাখে।
ঘটনাস্থলে আসেন পাবনার পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঈশ্বরদী সার্কেল মো. ফিরোজ কবীর, ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী।
দমকল বাহিনীও আনা হয়। কিন্তু কেউই কথিত বোমায় হাত দিতে সাহস পাননি। ডাকা হয় ঢাকার বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের। দিন পেরিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হন এগুলো আসলে বোমা নয়। সুন্দরভাবে জড়ানো বস্তু দুটির মোড়ক খুলে বোমার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিকাশ চক্রবর্তী জানান, ওগুলো বোমা নয়। তবে বোমার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।
বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৮ জুন তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কে বা কারা উড়ো চিঠি দেয়। চারদিন আগে বাড়ির সামনে পেট্রল ঢেলে রেখে যায় অজ্ঞাত কেউ। এ সব ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।