‘প্রধানমন্ত্রী আমরা কিছুই পাই নাই। বাল বাচ্চা লইয়া না খাইয়া মরতাছি। সবাই সাহায্য করতাছেন। কিন্তু আমরা বাল বাচ্চা লইয়া না খাইয়া মরি। খালি ৫টা সাবান পাইছি। বাল বাচ্চা লইয়া না খাইয়া মইরা যাইতাছি। হাত ধুইয়া কি করমু। কেমনে বাঁচমু?’
এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ আর কষ্টের কথা বলছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কুমুদীনি বাগান এলাকার কয়েকশ দরিদ্র নারী-পুরুষ।
তাদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় কোনো খাবার পৌঁছায়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর বাম দলের নেতা অসিত বরণ বিশ্বাসকে বাসায় গিয়েও পাচ্ছেন না, মোবাইলেও পাচ্ছেন না।
অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা বস্তিতে থাকি। আমাদের কেউ কোনো সাহায্য করছে না। আমাদের বাধ্য হয়ে কাজের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। আমাদের পোলাপান আছে, সংসার আছে, আমরা কেউ কোনো খাদ্য পাচ্ছি না।
এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, কাউন্সিলর আমাদের দেখেই না, আসেই না। ভোটের সময় সবাই আসেন। তখন ঘরের ভেতরে ঢুকে সালাম দিয়ে ভোট চায়। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি। তার বাড়িতে প্রতিবেদক গেলেও বাসায় নেই বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ দিনে ত্রাণের দাবিতে নাসিকের বন্দর এলাকার ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদেও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ এলাকাবাসী। ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অফিসও ঘেরাও করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।