০১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

দ্বিতীয় বিয়ে করতে লাগবে সরকারের অনুমতি!

  • তারিখ : ০৫:৪৫:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / 1027

রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া ভারতের আসাম রাজ্যের কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখন থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। গত ২০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ জারি করেছেন আসাম সরকারের মূখ্য সচিব নীরাজ ভার্মা। আর বিষয়টি সামনে আসে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর)। সরকারি ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো কর্মী সরকার প্রণীত এ বিধি অমান্য করে পুনরায় বিয়ে করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখিও হতে হবে। প্রয়োজনে ওই কর্মীকে অবসর দেওয়া হতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, স্ত্রী জীবিত আছেন এমন কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরকারের অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না। এমনকি, যে সম্প্রদায়ে একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। নীরাজ ভার্মা তার ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, আসাম সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলস ১৯৬৫ অনুসারে যার একজন স্ত্রী রয়েছে, তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না।

এদিকে, নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকারি কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না, যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি। যদিও আসামের একাধিক আইনজীবীর দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ম আসামে আগে থেকেই ছিল। কারণ সরকারি কর্মীদের চাকরিতে যোগদান করার আগে এ সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিতে হয়।

ধর্মেন্দ্র দেব নামে এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে হিন্দুরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। আর অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ‘ব্যক্তিগত আইনের’ বিষয়। এ ধরনের বিয়ে আটকাতে গেলে রাজ্য সরকারকে ব্যক্তিগত আইন সংশোধন করতে হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে আসাম বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের আইনগত বিধান সবার জন্য। এই নিয়ম শুধু সরকারি কর্মীদের জন্য হতে পারে না। যদি হিন্দুদের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে এর অর্থ এটি সব হিন্দুর জন্য। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে বিয়ের জন্য প্রচলিত আইন থাকলে তা অনুসরণ করা হবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

শেয়ার করুন

দ্বিতীয় বিয়ে করতে লাগবে সরকারের অনুমতি!

তারিখ : ০৫:৪৫:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া ভারতের আসাম রাজ্যের কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখন থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। গত ২০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ জারি করেছেন আসাম সরকারের মূখ্য সচিব নীরাজ ভার্মা। আর বিষয়টি সামনে আসে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর)। সরকারি ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো কর্মী সরকার প্রণীত এ বিধি অমান্য করে পুনরায় বিয়ে করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখিও হতে হবে। প্রয়োজনে ওই কর্মীকে অবসর দেওয়া হতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, স্ত্রী জীবিত আছেন এমন কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরকারের অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না। এমনকি, যে সম্প্রদায়ে একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। নীরাজ ভার্মা তার ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, আসাম সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলস ১৯৬৫ অনুসারে যার একজন স্ত্রী রয়েছে, তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না।

এদিকে, নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকারি কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না, যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি। যদিও আসামের একাধিক আইনজীবীর দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ম আসামে আগে থেকেই ছিল। কারণ সরকারি কর্মীদের চাকরিতে যোগদান করার আগে এ সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিতে হয়।

ধর্মেন্দ্র দেব নামে এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে হিন্দুরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। আর অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ‘ব্যক্তিগত আইনের’ বিষয়। এ ধরনের বিয়ে আটকাতে গেলে রাজ্য সরকারকে ব্যক্তিগত আইন সংশোধন করতে হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে আসাম বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের আইনগত বিধান সবার জন্য। এই নিয়ম শুধু সরকারি কর্মীদের জন্য হতে পারে না। যদি হিন্দুদের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে এর অর্থ এটি সব হিন্দুর জন্য। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে বিয়ের জন্য প্রচলিত আইন থাকলে তা অনুসরণ করা হবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস