উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা প্রতিটি ওয়ার্ড- মেয়র মিজান

সোহাগ মিয়াজী :

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সোনাকাটিয়া-নবগ্রাম এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেন চৌদ্দগ্রাম পৌর মেয়র মিজানুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাজারো জনতার ঢল নিয়ে সোনাকাটিয়ায় উক্ত মতবিনিময় সভায় করেন মিজানুর রহমান।

এসময় পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার আসার পরে আমাদের প্রিয় নেতা চৌদ্দগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা জননেতা মুজিবুল হক মুজিব এম.পি. নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি ২০১১ সালে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে এই গ্রামে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন কাজগুলো হয়েছে। সে কাজগুলো আজকে পরিদর্শন করা এবং এলাকার উন্নয়ন কাজ সম্পর্কে এলাকাবাসী থেকে জানার জন্য আজকের এই মতবিনিময় সভা।

তিনি আরো বলেন, এটা কোনো নির্বাচনী সভা নয়।নির্বাচন যখন আসবে,আমাদের দলের সিদ্ধান্তের পরে,আমাদের প্রিয় নেতার সিদ্ধান্তের পরে আমরা মাঠে ঘাটে হাজার জনতা নিয়ে চৌদ্দগ্রামের রাজপথকে প্রকম্পিত করে তুলবো।

জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, আমাদের প্রিয় নেতা মুজিবুল হক মুজিব এম.পি.’র প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।

আমি ৮-১০ বছর আগে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি।মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে এই সোনাকাটিয়া গ্রামের কী অবস্থা ছিলো আপনারা বিবেচনা করবেন।আজ সোনাকাটিয়া গ্রামের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। আপনারা দেখেছেন এই পৌরসভার সর্ববৃহৎ বাইপাস সড়ক মুজিবুল হক মুজিব এম.পি. সড়ক। এই সড়কের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই পৌরসভায় যে রাস্তার কাজের ফলে, বাইপাসের কাজ শেষ হওয়ার ফলে পৌরসভার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে ইনশাল্লাহ।

এখানে রাস্তা-ঘাট হয়েছে,স্কুল হয়েছে।প্রায় সকল কাজ সমাপ্তির পথে।

একসময় সোনাকাটিয়ার মানুষ বলতেন, আমাদের কোনো নেতা নেই, আমাদের কোনো অভিবাবক নেই। চৌদ্দগ্রাম বাজারে গিয়ে এই সোনাকাটিয়া মানুষের পক্ষে কোনো নেতা নেই।

আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে এলাকার মানুষের সহযোগীতায় সর্বপ্রথম এই সোনাকাটিয়া-নবগ্রাম কে একটি আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজকে সোনাকাটিয়ার দিকে তাকালে মনে হয় ঢাকা শহরের ঐ আধুনিক উত্তরা মডেল টাউনের মতো।

তাই আমি সকলকে অনুরোধ করছি, আমার প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের প্রিয়নেতা মুজিবুল হক মুজিব এম.পি.’র নেতৃত্বে এই পৌরসভাকে আমরা আরও আধুনিক ও উন্নত করার জন্য এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য এই এলাকার সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এই এলাকার যে অসমাপ্ত কাজগুলো রয়েছে। আপনাদের সকল কাজ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। যদি আমাদের প্রিয় নেতা মুজিবুল হক মুজিব এম.পি. শারীরিক ভাবে সুস্থ থেকে কাজ করতে পারেন।আমরা বিশ্বাস করি ওনার একজন কর্মী হিসেবে এই এলাকার কোনো কাজ বাকী থাকবে না ইনশাল্লাহ।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর মেয়র মিজানুর রহমান আরো বলেন, নির্বাচন আসলে জানাযায় নেতার অভাব হয় না।যখন নির্বাচন শেষ হয়ে যায়।তখন জানাযায় নেতাদের দেখা যায় না। শুধু তাই নয়।অনেক নেতাকে জীবনে দেখা যায় নি।মানুষের কোনো কাজে আসে নি। আমি তাদের বিরুদ্ধে না।

আমি বলতে চাই, আমাদের প্রিয় নেতা মুজিবুল হক মুজিব যখন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।আমি তা মেনে নিয়েছি।আমি মেয়র হওয়ার পরে এই পৌরসভায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে।দাঙ্গা-ফাসাদ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কেউ অবনতি ঘটাতে পারে নি।

তাই আমি সকলকে অনুরোধ করছি, আগামীদিনের সুন্দর চৌদ্দগ্রাম গড়ার জন্য আমার প্রিয় নেতা মুজিবুল হক মুজিবের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য অতীতে যেভাবে আমার পাশে কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও আওয়ামীলীগের স্বার্থে, শেখ হাসিনার স্বার্থে, মুজিবুল হকের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

পরে এলাকাবাসীসহ জনতার ঢল নিয়ে সোনাকাটিয়া-নবগ্রাম মুজিবুল হক সড়ক পরিদর্শন করেন।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!