১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ : ২১ শীর্ষ আলেম

  • তারিখ : ০৬:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 682

যাত্রাবাড়ি মাদরাসায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের এক সভায় ভাস্কর্য প্রসঙ্গে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয় যে, মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনো মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরীয়তসম্মত নয়। এতে মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মার কষ্ট হয়। কারো প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ না করে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার আলোকে কুরআন সুন্নাহর সমর্থিত কোনো উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত। সভায় ৫টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে রেজুলেশন হয়।

ভাস্কর্য ছাড়াও মহানবী সা. এর ব্যঙ্গাত্নক কার্টুন প্রকাশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাশের উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ, দ্বীনি আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধ, মাহফিলে লাউড স্পিকার বন্ধ করার প্রতিবাদ ও আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও দায়িত্বহীন আচরণ বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সভায়।

সভায় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন- ১. বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ২. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ৩. জমিয়ত একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ৪. বেফাকের খাস কমিটির সদস্য আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী, ৫. বি.বাড়িয়ার আল্লামা সাজিদুর রহমান, ৬. সিলেটের আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, ৭. জামিয়া রাহমানিয়ার প্রধান মুফতি মনসুরুল হক, ৮. ফরিদাবাদ মাদরাসার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ৯. জামিয়া ইউনুসিয়ার প্রধান মুফতি মুবারকুল্লাহ, ১০. গহরডাঙ্গা মাদরাসার মাওলানা রুহুল আমীন, ১১. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করিম, ১২. বরুণার পীর মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, ১৩. ঢালকানগরের পীর সাহেব মুফতি জাফর আহমদ, ১৪. বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ১৫. বসুন্ধরা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী, ১৬. খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, ১৭. আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, ১৯. শাইখ যাকারিয়ার পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, ১৮. বারিধারা মাদরাসার মাওলানা নাজমুল হাসান, ২০. আফতাবনগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মুহাম্মদ আলী ও ২১. খুলনার মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরার মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারি, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিলসহ অনেক ওলামায়ে কেরাম।

ইনকিলাব

শেয়ার করুন

মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ : ২১ শীর্ষ আলেম

তারিখ : ০৬:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

যাত্রাবাড়ি মাদরাসায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের এক সভায় ভাস্কর্য প্রসঙ্গে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয় যে, মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনো মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরীয়তসম্মত নয়। এতে মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মার কষ্ট হয়। কারো প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ না করে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার আলোকে কুরআন সুন্নাহর সমর্থিত কোনো উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত। সভায় ৫টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে রেজুলেশন হয়।

ভাস্কর্য ছাড়াও মহানবী সা. এর ব্যঙ্গাত্নক কার্টুন প্রকাশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাশের উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ, দ্বীনি আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধ, মাহফিলে লাউড স্পিকার বন্ধ করার প্রতিবাদ ও আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও দায়িত্বহীন আচরণ বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সভায়।

সভায় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন- ১. বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ২. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ৩. জমিয়ত একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ৪. বেফাকের খাস কমিটির সদস্য আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী, ৫. বি.বাড়িয়ার আল্লামা সাজিদুর রহমান, ৬. সিলেটের আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, ৭. জামিয়া রাহমানিয়ার প্রধান মুফতি মনসুরুল হক, ৮. ফরিদাবাদ মাদরাসার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ৯. জামিয়া ইউনুসিয়ার প্রধান মুফতি মুবারকুল্লাহ, ১০. গহরডাঙ্গা মাদরাসার মাওলানা রুহুল আমীন, ১১. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করিম, ১২. বরুণার পীর মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, ১৩. ঢালকানগরের পীর সাহেব মুফতি জাফর আহমদ, ১৪. বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ১৫. বসুন্ধরা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী, ১৬. খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, ১৭. আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, ১৯. শাইখ যাকারিয়ার পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, ১৮. বারিধারা মাদরাসার মাওলানা নাজমুল হাসান, ২০. আফতাবনগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মুহাম্মদ আলী ও ২১. খুলনার মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরার মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারি, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিলসহ অনেক ওলামায়ে কেরাম।

ইনকিলাব