০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

ছাগলে ফুলগাছ খাওয়ায় মালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করলেন ইউএনও

  • তারিখ : ১১:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
  • / 785

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাগানের ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগলের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তবে বুধবার (২৬ মে) বিকেলে ইউএনও সীমা শারমিন জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ছাগলটি ভিন্ন স্থানে জিম্মায় রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো-সংলগ্ন বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন মুরগি ও ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল ১৭ মে দিনেরবেলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খায় ও নষ্ট করে। এসময় নির্দেশ পেয়ে ওই ছাগলটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তাকর্মী ছাগলটিকে আটক করে রাখেন। সাহারা খাতুন ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগল বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়ানো অবস্থায় দেখতে পান।

তিনি ছাগল আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেন এক নিরাপত্তাকর্মী। এরপর তাকে জানানো হয়, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছেড়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু সাহারা খাতুন টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেননি।

সাহারা খাতুন জানান, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও তার বাসার গৃহকর্মী মারফত খবর পাঠিয়েছেন যে জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকা ছাগল মালিককে নিয়ে আসতে।

এ ব্যাপারে ইউএনও সীমা শারমিন সাংবাদিকদের জানান, ফুলের গাছ খাওয়া নিয়ে ছাগলের মালিককে চার দফা নিষেধ করা হয়েছে। এরপর ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে মালিকের অজান্তে ছাগলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় এনে মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ছাগল বিক্রি করা হয়নি। একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ছাগল মালিক সঠিক বলছেন না।

এদিকে ইউএনওর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অনেকে। তারা বলছেন, এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজল বলেন,‘কোনো গাছপালা খেলে ছাগলকে সর্বোচ্চ খোয়াড়ে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ছাগল আটক রাখা বা বিক্রি করা আইনত অপরাধ। ইউএনও এই কাজটি স‌ঠিক ক‌রেন‌নি।

শেয়ার করুন

ছাগলে ফুলগাছ খাওয়ায় মালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করলেন ইউএনও

তারিখ : ১১:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাগানের ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগলের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তবে বুধবার (২৬ মে) বিকেলে ইউএনও সীমা শারমিন জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ছাগলটি ভিন্ন স্থানে জিম্মায় রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো-সংলগ্ন বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন মুরগি ও ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল ১৭ মে দিনেরবেলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খায় ও নষ্ট করে। এসময় নির্দেশ পেয়ে ওই ছাগলটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তাকর্মী ছাগলটিকে আটক করে রাখেন। সাহারা খাতুন ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগল বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়ানো অবস্থায় দেখতে পান।

তিনি ছাগল আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেন এক নিরাপত্তাকর্মী। এরপর তাকে জানানো হয়, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছেড়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু সাহারা খাতুন টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেননি।

সাহারা খাতুন জানান, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও তার বাসার গৃহকর্মী মারফত খবর পাঠিয়েছেন যে জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকা ছাগল মালিককে নিয়ে আসতে।

এ ব্যাপারে ইউএনও সীমা শারমিন সাংবাদিকদের জানান, ফুলের গাছ খাওয়া নিয়ে ছাগলের মালিককে চার দফা নিষেধ করা হয়েছে। এরপর ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে মালিকের অজান্তে ছাগলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় এনে মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ছাগল বিক্রি করা হয়নি। একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ছাগল মালিক সঠিক বলছেন না।

এদিকে ইউএনওর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অনেকে। তারা বলছেন, এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজল বলেন,‘কোনো গাছপালা খেলে ছাগলকে সর্বোচ্চ খোয়াড়ে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ছাগল আটক রাখা বা বিক্রি করা আইনত অপরাধ। ইউএনও এই কাজটি স‌ঠিক ক‌রেন‌নি।