অনলাইন ডেস্ক।।
বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৯৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেও বিপদে পড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদিও শেষ পর্যন্ত দুই উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয় সিলেট। ৯৭ রানে সহজ লক্ষ্য টপকাতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে কুমিল্লা।
পরে ৮ উইকেট হারানো দলটি ২ উইকেট এবং ৮ বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পায়।
৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসির উইকেট হারায় কুমিল্লা। সাবেক এই প্রোটিয়া অধিনায়ক বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে করেন মাত্র ২ রান। ৭ বল খেলে সোহাগ গাজীর বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ডু প্লেসি।
এরপর আরেক ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টকেও (১৬) বিদায় করেন সোহাগ গাজী।
৩৪ রানে ২ উইকেট হারানো কুমিল্লা এরপর আরও ১১ রান যোগ হতেই হারায় মুমিনুল হক (১৫) ও অধিনায়ক ইমরুলের (১০) উইকেট। দু’জনকেই বিদায় করেন সিলেটের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দ্রুত বিদায় নেন আরিফুল হকও (৪)।
আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত (১৮)।
কুমিল্লাকে ৮৪ রানে রেখে নাজমুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন নাহিদুল ইসলাম। জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরত্বে বিদায় নেন শহিদুল ইসলাম (১)। হাতে ২১ বল রেখেও তখন হারের শঙ্কায় কুমিল্লা। শেষ ১২ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ রানের।
তবে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দলটি। ১৪ বলে ৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাহিদুল। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তানভীর।
সিলেটের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন সিলেটের সোহাগ গাজী ও মোসাদ্দেক। বাকি উইকেট তাসকিনের।
এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সিলেট সানরাইজার্স ব্যাটাররা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রান তুলতে হিমশিম খায় সিলেট। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বিজয়ের উইকেটটি নেন নাহিদুল ইসলাম। এরপর দলীয় ৩৩ রানে শহীদুল ইসলামের বলে বিদায় নেন আরেক ওপেনার কলিন ইনগ্রাম (২০)। এক রান যোগ হতেই অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনকে (৫) আউট করেন নাহিদুল।
কুমিল্লা বোলারদের তোপে এরপর সিলেটের কেউই নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। রবি বোপারা ১৭, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩ ও অলক কাপালি ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সোহাগ গাজী ১২ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন।
কুমিল্লার পক্ষে নাহিদুল, মুস্তাফিজ ও শহীদুল ২টি করে উইকেট লাভ করেন। এছাড়া তানবীর, মুমিনুল হক একটি করে উইকেট দখল করেন।