প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষে শত পাঠাগার উদ্যোগকে তৃনমূল পর্যায়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সক্ষমতা যাচাই করা এবং লেখক-পাঠক-পাঠাগার এর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিরূপণে করতে গত দু’মাস ব্যাপি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে একটি পাঠাগার জরিপ পরিচালনা করা হয়। ০৪ মার্চ, ২০২১ ইং রোজঃ শুক্রবার ভারতের সীামান্ত সংলগ্ন “রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালে নির্মিত গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি স্মারক মাটির ঘরে পাঠাগার ও গ্রামীণ জাদুঘর জরিপের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে জরিপ কার্যক্রম সুসম্পন্ন হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু। জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম হোসাইন। জরিপ সমন্বয়কারী ছিলেন শরিফুজ্জামান সরকার। উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান, স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহাজাহান সরদারসহ আরো বিশিষ্ট জনেরা।
মূলত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ এর উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলুর প্রস্তাবে স্বাধীনতা উত্তর নির্মিত এই মাটির ঘরটি বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার শিক্ষার স্মারক গৃহ হিসেবে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ও শিক্ষা জাদুঘর তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় একটি যুগোপযোগী বইপড়ার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এই কার্যক্রমটি অন্যতম সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য মুজিব শতবর্ষে শত পাঠাগার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ সকালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম হোসাইন এই গ্রামীণ পাঠাগার ও জাদুঘর টি নিয়ে একটি বৃহৎ পরিকল্পনা তৈরি করেন।
ইতিমধ্যেই সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রায় ৯০টি বেসরকারি গণগ্রন্থাগার নির্মাণের উদ্যোক্তাগণ তাদের নিজ নিজ গ্রামে পাঠাগার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। উপজেলার ছাত্র ও যুব সমাজ কে বই পাঠের সাথে সম্পৃক্ত করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অভিনব কৌশল।