১১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

নাঙ্গলকোটে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ, দুর্ভোগের শিকার শতশত পরিবার

  • তারিখ : ০৫:০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
  • / 363

মাঈন উদ্দিন দুলাল :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসদরের লোটাস চত্ত¡র থেকে বহমান ডাকাতিয়া শাখা খাল পর্যন্ত সরকারি খালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন ম্যাক টাওয়ার এলাকা থেকে ষ্টিলব্রিজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় খালের ৮টি স্থানে মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা। যার ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে ওই এলাকার, নার্সারী, কৃষি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সহ চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকার শত শত পরিবার। বাঁধের কারণে নার্সারী মালিক, কৃষক, ব্যবসায়ী ও নাঙ্গলকোটের মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ার কর্তৃপক্ষের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

সরেজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন ম্যাক টাওয়ার এলাকা থেকে ষ্টিলব্রিজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় প্রভাবশালী মনির হোসেন, মাষ্টার নিজাম উদ্দিন মজুমদার, মাষ্টার ইব্রাহিম, আবুল বশর, ইউনুছ’সহ কয়েকজন সরকারি খালের বিভিন্ন স্থানে ৮টি বাঁধ তৈরি করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করে আসছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধের ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে এলাকার কৃষক, নার্সারী মালিক, ব্যবসায়ী ও মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ারসহ শতশত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ম্যাক টাওয়ারের মালিক এ.কে.এম আশ্রাফুল আলম উজ্জ্বল বলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসদরের অধিকাংশ পানি এ খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়। এ খালটি প্রস্থ প্রায় ১১ ফুট, ভবন নির্মাতারা নিজেদের মতো করে খালে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। যার ফলে এলাকার কৃষিজমি, কয়েকটি নার্সারী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আমার মালিকানাধিন নাঙ্গলকোটের মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ারে পানি প্রবেশ করে টাওয়ারের সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে ও প্রকল্প এলাকায় পানি প্রবেশ করার কারণে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তিনি বলেন আমি বিষয়টি পৌর মেয়র সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর প্রতিকার দাবি করছি।

জালাল নার্সারী মালিক হরিপুর গ্রামের আবুল বশর বলেন, বাড়ি নির্মাতারা তাদের সুবিধার্থে খালে বাঁধ নির্মাণ করায়, পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে আমাদের নার্সারী ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

আরিফ নার্সারী মালিক হরিপুর গ্রামের আরিফুর রহমান বলেন, বহুতল ভবন নির্মাতারা তাদের ইচ্ছা মতো খালে বাঁধ নির্মাণ করায়, পানিতে আমার নার্সারী তলিয়ে যায় এতে প্রায় আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আমি এর প্রতিকার চাই।

অভিযুক্ত ভবন নির্মাণকারীদের একজন জোড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, আমি খালের উপর কোন বাঁধ নির্মাণ করিনি। পিছনের জমির মালিক এ বাঁধ নির্মাণ করেছে।

পৌর মেয়র আব্দুল মালেক বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। খবর নিয়ে খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

নাঙ্গলকোটে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ, দুর্ভোগের শিকার শতশত পরিবার

তারিখ : ০৫:০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২

মাঈন উদ্দিন দুলাল :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসদরের লোটাস চত্ত¡র থেকে বহমান ডাকাতিয়া শাখা খাল পর্যন্ত সরকারি খালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন ম্যাক টাওয়ার এলাকা থেকে ষ্টিলব্রিজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় খালের ৮টি স্থানে মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা। যার ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে ওই এলাকার, নার্সারী, কৃষি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সহ চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকার শত শত পরিবার। বাঁধের কারণে নার্সারী মালিক, কৃষক, ব্যবসায়ী ও নাঙ্গলকোটের মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ার কর্তৃপক্ষের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

সরেজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন ম্যাক টাওয়ার এলাকা থেকে ষ্টিলব্রিজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় প্রভাবশালী মনির হোসেন, মাষ্টার নিজাম উদ্দিন মজুমদার, মাষ্টার ইব্রাহিম, আবুল বশর, ইউনুছ’সহ কয়েকজন সরকারি খালের বিভিন্ন স্থানে ৮টি বাঁধ তৈরি করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করে আসছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধের ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে এলাকার কৃষক, নার্সারী মালিক, ব্যবসায়ী ও মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ারসহ শতশত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ম্যাক টাওয়ারের মালিক এ.কে.এম আশ্রাফুল আলম উজ্জ্বল বলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসদরের অধিকাংশ পানি এ খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়। এ খালটি প্রস্থ প্রায় ১১ ফুট, ভবন নির্মাতারা নিজেদের মতো করে খালে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। যার ফলে এলাকার কৃষিজমি, কয়েকটি নার্সারী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আমার মালিকানাধিন নাঙ্গলকোটের মেগা প্রকল্প ম্যাক টাওয়ারে পানি প্রবেশ করে টাওয়ারের সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে ও প্রকল্প এলাকায় পানি প্রবেশ করার কারণে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তিনি বলেন আমি বিষয়টি পৌর মেয়র সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর প্রতিকার দাবি করছি।

জালাল নার্সারী মালিক হরিপুর গ্রামের আবুল বশর বলেন, বাড়ি নির্মাতারা তাদের সুবিধার্থে খালে বাঁধ নির্মাণ করায়, পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে আমাদের নার্সারী ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

আরিফ নার্সারী মালিক হরিপুর গ্রামের আরিফুর রহমান বলেন, বহুতল ভবন নির্মাতারা তাদের ইচ্ছা মতো খালে বাঁধ নির্মাণ করায়, পানিতে আমার নার্সারী তলিয়ে যায় এতে প্রায় আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আমি এর প্রতিকার চাই।

অভিযুক্ত ভবন নির্মাণকারীদের একজন জোড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, আমি খালের উপর কোন বাঁধ নির্মাণ করিনি। পিছনের জমির মালিক এ বাঁধ নির্মাণ করেছে।

পৌর মেয়র আব্দুল মালেক বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। খবর নিয়ে খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।