০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ধরে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

  • তারিখ : ১২:৪০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 441

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দুই জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাকেশ দাস ও অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস কে মাসুম। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশকে ও বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তান মসজিদের সামনে থেকে মাসুমকে ধরে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল, সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল ও স্বৈরাচারেরর দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাকেশ দাসকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ ছাড়াও যারা যারা ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। অতি দ্রুত আমরা তাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশে দেবো। এমনকি শিক্ষক, কর্মচারী যারাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন সক্রিয়ভাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার। তাদেরকেও আমরা মামলার ভিত্তিতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো।

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা মামলার আসামি হিসেবে আমাদের কাছে দিয়েছে দুই জনকে। আমরা ডিবি অফিসে হস্তান্তর করবো, তারা সম্ভবত অ্যারেস্ট হিসেবে গ্রহণ করবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া বলেন, গত ১৫ ও ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সে ঘটনার মামলা এটি। আরও বিস্তারিত বললে, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এরা। এ ছাড়াও যারা আছে এখনও তাদের বিরুদ্ধেও এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাজ্জাদ করিম খান বলেন, তাদেরকে আগের একটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করেছি। তাদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, রাকেশ দাসের বিষয়টা বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করার পর, পুলিশ বলেছে, সে নিয়মিত মামলার আসামি, আমরা তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। আর মাসুমের বিষয়টা আমরা এখনও অবগত নই।

শেয়ার করুন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ধরে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

তারিখ : ১২:৪০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দুই জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাকেশ দাস ও অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস কে মাসুম। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশকে ও বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তান মসজিদের সামনে থেকে মাসুমকে ধরে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল, সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল ও স্বৈরাচারেরর দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাকেশ দাসকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ ছাড়াও যারা যারা ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। অতি দ্রুত আমরা তাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশে দেবো। এমনকি শিক্ষক, কর্মচারী যারাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন সক্রিয়ভাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার। তাদেরকেও আমরা মামলার ভিত্তিতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো।

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা মামলার আসামি হিসেবে আমাদের কাছে দিয়েছে দুই জনকে। আমরা ডিবি অফিসে হস্তান্তর করবো, তারা সম্ভবত অ্যারেস্ট হিসেবে গ্রহণ করবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া বলেন, গত ১৫ ও ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সে ঘটনার মামলা এটি। আরও বিস্তারিত বললে, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এরা। এ ছাড়াও যারা আছে এখনও তাদের বিরুদ্ধেও এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাজ্জাদ করিম খান বলেন, তাদেরকে আগের একটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করেছি। তাদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, রাকেশ দাসের বিষয়টা বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করার পর, পুলিশ বলেছে, সে নিয়মিত মামলার আসামি, আমরা তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। আর মাসুমের বিষয়টা আমরা এখনও অবগত নই।