নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে কাজের গতি ও সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা এনে দিয়েছে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন। তৃণমূলের নেতৃত্বে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের গতি আরও সঞ্চারিত করার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলনগুলোতে স্বতস্ফূর্ত-জাঁকজমকপূর্ণ ও নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপস্থিতির ঢল ছিল নজীরবিহীন। কমিটিগুলোতে পদবীধারি বেশিরভাগই ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতা। এসব নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের মধ্যদিয়ে কুমিল্লার গণমানুষের নেতা এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহার মহানগরে তৃণমূল রাজনীতিতে সাংগঠনিক গতি ও দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নগর কেন্দ্রিক রাজনীতিতে যে সাংগঠনিক গতি সৃষ্টি হয়েছে তা দেশের অন্যসব মহানগর থেকে অনেকাংশে শক্তিশালী। কুমিল্লায় আজকের সুসংগঠিত মহানগর আওয়ামী লীগ পরিচালিত হয়ে আসছে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের হাত ধরে।
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। এরপর গত ছয় বছরে মহানগরে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি হয়নি। কমিটি না হলেও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিনকে ঘিরে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারকে সভাপতি ও কুমিল্লা দণি জেলা যুবলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আরফানুল হক রিফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট প্রথম কমিটির অনুমোদন দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
কুমিল্লা এগুলে এগুবে বাংলাদেশ। এ শ্লোগানের প্রবক্তা সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার মহানগর আওয়ামী লীগের কান্ডারি। দলের ত্যাগী, তৃণমূলদের নিয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগকে গণমানুষের দুয়ারে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন এ রাজনীতিবিদ। লক্ষ্য একটাই, দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে ঐক্য। আর সরকারের সাফল্য, উন্নয়নের কথা পৌঁছে দিতে হবে জনগণের দোরগোড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে রাখতে হবে ভূমিকা। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে শুরু হয় ত্রিবার্ষিক ওয়ার্ড সম্মেলন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ২৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলন।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ইনকিলাবকে জানান, প্রায় ৫মাসের অকান্ত পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে আমরা ২৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করতে পেরেছি। আমরা আশাবাদি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের নান্দনিক ভবন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধনের পরই জুন মাসের মধ্যেই মহানগর কমিটির সম্মেলন করা হবে। আমাকে সব সময় প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে হয়েছে।
সকল চক্রান্ত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ২০০৮ সালে আমার প্রিয় নেত্রী, জাতিরজনক কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন না দিলে আজকে কুমিল্লার মানুষের জন্য কথা বলার সুযোগ ছিলনা। ২০১৭ সালে নেত্রী আমাকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে নেত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের সকল মহানগর থেকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
এখানে নেতৃত্বের ফাটল এবং দ্বিধাদ্বন্ধ থাকার সুযোগ নাই। প্রতিটি ওয়ার্ডের সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি হয়েছে সেখানে ত্যাগী ও তৃণমূলের প্রাধান্য রয়েছে। বাঙালি জাতির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে দেশ ও জনগণের রাজনীতি করেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে দেশ যেভাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরাও সেই রাজনৈতিক দর্শনকে সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। যার মধ্যদিয়ে আমাদের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীর সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ছে, নেতৃত্বে এসেছে দায়বদ্ধতা ও গতিময়তা।